পুজো এসেই গেল প্রায়। বছরের আর পাঁচটা সময় না হলেও পুজোর আগে অনেকেই স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি সচেতন হয়ে পড়েন। দ্রুত ওজন ঝরানোর তাগিদে শহরের জিমগুলিতে সদস্য হওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। তবে অফিসের ব্যস্ততা ও সংসারের হাজারটা কাজ সামলে অনেকেই জিমে যাওয়ার সময় পান না। এ দিকে, পুজোর আগে একটু ফিট না হলেই নয়। বাড়িতে আধ ঘণ্টা সময় বার করে যোগাসন অভ্যাস করুন। কেবল রোগা হতেই নয়, শরীরের নানা সমস্যার সমাধান কিন্তু দূর হতে পারে নিয়ম করে যোগাসন করলে। তেমনই একটি আসন হল একপদ প্রণমাসন। নিয়ম করে অভ্যাস করলে শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকবে, স্মৃতি বাড়বে, পেশির জোরও বাড়বে।
কী ভাবে করবেন?
১) ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। শরীর টানটান থাকবে। দুই হাত পাশে রাখুন।
২) এ বারে ডান পা ভাঁজ করে পায়ের পাতা বাম পায়ের ঊরুতে এমন ভাবে ঠেকিয়ে রাখুন, যেন গোড়ালি কুঁচকিতে ঠেকে থাকে। স্বাভাবিক ভাবেই ডান হাঁটু বাইরের দিকে থাকবে। এটি প্রথম ধাপ।
৩) প্রথম ধাপ অভ্যাস করার পর একই ভাবে কাঁধে হাত রেখে ডান দিকে কোমর ঘুরিয়ে হাঁটু না ভেঙে সামনে ঝুঁকুন। ঘাড়, কোমর, শিরদাঁড়া, সবই যেন টানটান থাকে। হাত দু'টি থাকবে কাঁধের সমান্তরালে।
আরও পড়ুন:
৪) এই ভাবে কিছু ক্ষণ দাঁড়াতে হবে। বাঁ পায়ে ভর দিয়ে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
৫) দুই হাত প্রণামের ভঙ্গিতে বুকের কাছে জড়ো করুন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এই ভঙ্গিতে ৩০ সেকেন্ড দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন।
৬) তার পর আগের অবস্থানে ফিরে যান।
উপকারিতা
এক পায়ে দাঁড়িয়ে এই আসন অভ্যাস করলে পায়ের পাতা, গোড়ালি-সহ পায়ের সমস্ত পেশিই নমনীয় ও দৃঢ় হয়।
শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে, এতে শারীরিক নানা সমস্যার সমাধান হবে।
এই আসন অভ্যাসে মনের জোর বাড়বে, মানসিক চাপ কমবে।
কারা করবেন না?
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করা যাবে না।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া আসনটি করবেন না।