বিরিয়ানি বা পোলাওতে খানিক জাফরান বা কেশর না দিলে সেই রংটাই আসে না। কাশ্মীরি কাওয়া চা-এর অন্যতম প্রধান উপকরণই হল কেশর। সামান্য কেশর যে কোনও পদে এনে দেয় বাদশাহি আমেজ। দাম অনেকটাই বেশি হলেও এর চাহিদা কম নয়। শুধু স্বাদ নয় কেশর পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস’-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, রক্তচাপ কমাতে ও মন ভাল রাখতে খুবই উপকারী কেশর। এক চিমটি কেশর মন ভাল রাখতে পারে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও কমাতে পারে। সারাদিন অফিসে পরিশ্রম করার পর কেশর দেওয়া চা খেলে এক নিমেষে ক্লান্তি দূর হয়ে যেতে পারে।
কেশর চা খেলে হার্টও ভাল থাকবে। কেশরের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান ফ্ল্যাভোনয়েড হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি কেশরের ক্যানসার প্রতিরোধী গুণও রয়েছে। কেশরের মধ্যে থাকা অ্যান্টিকারসিনোজেনিক যৌগ ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। স্মৃতিশক্তির বাড়াতেও এটি অত্যন্ত উপকারী। কেশর ওজন কমাতেও সাহায্য করে। নিয়মিত পরিমিত মাত্রায় খেলে মেদ ঝরবে।
আরও পড়ুন:
ঋতুঃস্রাবের সময় অনেকেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করেন। এ ক্ষেত্রে কেশর চা খেলে আরাম পেতে পারেন। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতেও এই পানীয় দারুণ উপকারী।
কেশর চা কী ভাবে বানাবেন?
১ কাপ জল নিয়ে ফোটান। তাতে ৪-৫টি কেশর মেশান। কম আঁচে জল ফুটে দিন। মিনিট পাঁচেক পরেই দেখবেন জলের রং বদলে যাচ্ছে। সুন্দর গন্ধও বার হবে। এ বার সেই চায়ে এক চামচ মধু, আধ চা-চামচ লেবুর রস ও এক চিমটি দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। ভাল করে নেড়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম খেয়ে নিন।