মানসিক চাপ কমাবে। আবার ওজনও কমবে। কর্টিসল ককটেল খেলে দুই কাজ একই সঙ্গে হবে বলে ধারণা অনেকের। ওজ়েম্পিক, মাউনজ়েরোর মতো জনপ্রিয় ওজন কমানোর ওষুধের পাশাপাশি কর্টিসল ককটেল নিয়ে এখন খুবই চর্চা হচ্ছে। তারকা থেকে সাধারণ মানুষ— এই ককটেল পানীয়ের জাদুতে নাকি মুগ্ধ। কী এই কর্টিসল ককটেল? কী ভাবে বানানো হয় এই পানীয়?
কর্টিসল ককটেল কী?
এতে কোনও অ্যালকোহল থাকে না। উপকরণে থাকে পাতিলেবু বা কমলেবুর রস, ডাবের জল এবং সামান্য সৈন্ধব লবণ।
ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে কর্টিসল পানীয় খাচ্ছেন অনেকেই। লেবুর রসে ভিটামিন সি, পটাশিয়ামের জন্য ডাবের জল এবং সোডিয়ামের জন্য সৈন্ধব লবণ মেশানো হচ্ছে। মূলত শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণেও উপকারী এই পানীয়।
ওজন কমাতে পারে কি?
কর্টিসল ককটেল আদতে ‘এনার্জি ড্রিঙ্ক’। এটি খেলে যে ওজন বিশাল কিছু কমে যাবে, তা নয়। কর্টিসল ককটেল আদৌ ওজন কমাতে পারে কি না, তা নিয়ে পুষ্টিবিদেরাও নানা কথা বলেন। অনেকেরই মত, এটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। লেবু, ডাবের জল ও সৈন্ধব লবণ একসঙ্গে মিশলে তা হজমপ্রক্রিয়াকে উন্নত করবে। পেট ফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমবে। তা ছাড়া এই পানীয় খেলে পেট ভাল থাকবে, ভাজাভুজি খাওয়ার ইচ্ছাও কমবে। মূলত ‘সুগার ক্রেভিং’ কম হবে। তাই পরোক্ষে এটি ওজন কমাতেও সহায়ক হতে পারে।
কর্টিসল হরমোনের সঙ্গে কী যোগ?
কর্টিসলকে বলা হয় স্ট্রেস হরমোন। কোনও কারণে মানসিক চাপ বেড়ে গেলে এই হরমোনের ক্ষরণ বেশি হয়। আর কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে গেলে ধীরে ধীরে শরীরের ওজন বাড়তে থাকে। পেটের অংশ স্ফীত হতে থাকে। হাড় দুর্বল হয়। রক্তচাপ বেড়ে যায়। কর্টিসল হরমোন কমবেশি হওয়ার প্রভাব সরাসরি পড়ে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যে। কর্টিসল পানীয় নিয়মিত খেলে এই হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে বলেই ধারণা। এই পানীয় এতটাই ভিটামিন সমৃদ্ধ যে, শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করতে পারে। তাই স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণও কম হয়। পাশাপাশি, শরীরে গ্লুকোজ়ের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
তবে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি হলে বা যাঁরা নিয়মিত ইনসুলিন নেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পানীয়টি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে। ক্রনিক কিডনির অসুখ থাকলে, অথবা হার্ট, রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেলে কর্টিসল ককটেল না খাওয়াই ভাল।