Advertisement
E-Paper

জিভ দেখেই কী ভাবে রোগ চিনে ফেলেন চিকিৎসকেরা? কোন রং কোন বিপদের ইঙ্গিত?

খাবারের স্বাদ কেমন তা বুঝতে যেমন জিভের উপরেই ভরসা রাখতে হয়, তেমনই শরীর হাল বুঝতেও কাজে আসে এই অঙ্গ। জিভের স্বাভাবিক হালকা গোলাপি রং বদলে গেলে তা বিভিন্ন সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৪৩
যখন জিভ দেখেই যায় রোগ চেনা।

যখন জিভ দেখেই যায় রোগ চেনা। ছবি: শাটারস্টক।

ভাইরাল জ্বর হোক কিংবা পেটব্যথা— চিকিৎসকদের কাছে গেলেই তাঁরা সবার আগে রোগীর জিভ দেখতে চান। কেন বলুন তো? খাবারের স্বাদ কেমন তা বুঝতে যেমন জিভের উপরেই ভরসা রাখতে হয়, তেমনই শরীর হাল বুঝতেও কাজে আসে এই অঙ্গ। জিভের স্বাভাবিক হালকা গোলাপি রং বদলে গেলে তা বিভিন্ন সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময়ে জিভের উপর সাদাটে আস্তরণ পড়তে দেখা যায়। কেন হয় এমন? চিকিৎসকদের মতে, মুখের স্বাস্থ্যের সঠিক খেয়াল না রাখলে জিভের উপর সাদা আস্তরণ পড়ে। ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণে এমনটা হতে পারে। শরীরে জলের ঘাটতি হলেও জিভ সাদা হয়ে যায়। নিয়মিত মদ্যপান, ধূমপান করলেও কিন্তু জিভের উপর সাদা স্তর পড়ে। এ ছাড়া কিছু রোগের ক্ষেত্রেও জিভ দেখেই যাচাই করেন চিকিৎসকেরা। জেনে নিন কখন সাবধান হবেন।

১) মুখের ভিতরেই ‘ক্যান্ডিডা ইস্ট’ নামের এক প্রকার ছত্রাক থাকে। এই ছত্রাকটি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলেও জিভে সাদাটে আস্তরণ তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ওরাল থ্রাশ। সাধারণত এটি গুরুতর সমস্যা না হলেও ওরাল থ্রাশ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই এই সমস্যার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে কোনও গভীর সমস্যাও।

২) লিউকোপ্লাকিয়ার কারণে এমনটা হতে পারে। নাম খটমট হলেও সমস্যাটি সাধারণত খুব একটা উদ্বেগের নয়। জিভ বা মুখগহ্বরের উপরের ত্বকের কোষের অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। এই কোষগুলি কেরাটিন নামের একটি প্রোটিনের সঙ্গে মিশে জিভে একটি সাদা আস্তরণ তৈরি করে। সাধারণত নিজে থেকে সেরে গেলেও কখনও কখনও লিউকোপ্লাকিয়া থেকে মুখের ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে। তাই সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।

৩) সিফিলিস একটি যৌনরোগ। জিভে সাদা রঙের আস্তরণ এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। সাধারণত অসুরক্ষিত যৌন মিলনের মধ্য দিয়ে এই রোগের ব্যাক্টেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। সময় মতো চিকিৎসা না হলে এই রোগ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। তাই জিভে এই ধরনের কোনও সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে।

৪) জিভের রং হঠাৎ নীলচে বা বেগনি হয়ে গেলে বুঝতে হবে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হচ্ছে। এ ছাড়া, শ্বাসযন্ত্র কিংবা কার্ডিয়োভাসকুলার কোনও সমস্যা থাকলেও জিভের রং নীল হয়ে যেতে পারে।

৫) জিভের রং একেবারে ফ্যাকাসে হয়ে গেলে তা রক্তে আয়রনের অভাবকেই ইঙ্গিত করে। আবার জিভের উপর লাল এবং সাদা চাকা চাকা দাগ অটোইমিউন রোগের ইঙ্গিতও বহন করে।

Health Problems Health Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy