মিষ্টি খাবেন, কিন্তু ওজন বাড়বে না, কী ভাবে সম্ভব? ছবি: সংগৃহীত।
রোগা হওয়ার প্রথম ধাপ মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া। অনেকেই তা করেন। রান্নায় পর্যন্ত চিনি দেওয়া হয় না। ফ্রিজে চকোলেট, মিষ্টি থাকে না। এটা ঠিক যে, মিষ্টি না খেলে ওজন ঝরানো সহজ হয়ে যায়। তবে মিষ্টি থেকে দূরে থাকা বাঙালির পক্ষে বেশ কঠিন। মিষ্টিমুখ ছাড়া কোনও অনুষ্ঠানই সম্পূর্ণ হয় না। ছিপছিপে হওয়ার তাগিদে মিষ্টির সঙ্গে সাময়িক বিচ্ছেদ ঘটাতেই হয়। কিন্তু, মিষ্টি ছাড়া যাঁদের জীবনটাই তেতো হয়ে যায়, তাঁদের কি রোগা হওয়ার কোনও উপায় নেই? পুষ্টিবিদেরা অবশ্য বলেন, মিষ্টি খেয়েও ছিপছিপে থাকা সম্ভব। তবে খেতে হবে একটু নিয়ম মেনে। সময় বুঝে।
ঘড়ি ধরে খাবার না খেলে রোগা হওয়ার সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, যদি সময়ে খাবার খান, তা হলে শুধু মিষ্টি কেন, মাঝেমাঝে ভাজাভুজি খেলেও ওজন বাড়বে না। রসগোল্লা, সন্দেশ খাচ্ছেন না মানেই মিষ্টি থেকে দূরে থাকছেন, ভেবে নেওয়া ভুল। কারণ, এমন অনেক চেনা খাবারেই চিনি আছে, যেগুলি পরিকল্পিত ডায়েটেও থাকে। তবে সঠিক সময়ে মিষ্টি খেলেও সমস্যা হবে না।
রোগা হওয়ার ইচ্ছা থাক কিংবা না থাক, মিষ্টি খাওয়ার সঠিক সময় হল সকালবেলা। সকালের দিকে বিপাকহার বেশি থাকে। সেই কারণে সকালে মিষ্টি খেলেও তা বাড়তি মেদের কারণ হয়ে উঠবে না। রাতে মিষ্টি খাওয়া হল সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর ব্যাপার। নৈশভোজে মিষ্টি খেতে বারণ করেন পুষ্টিবিদেরা। রাতে বিশেষ হাঁটাচলা হয় না। কায়িক পরিশ্রমও কম হয়। ফলে মিষ্টি হজম হওয়ার সুযোগ কম থাকে। সেই কারণে রাতে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসে ওজন বাড়তে পারে। সকালে মিষ্টি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কম, কিন্তু একেবারে যে নেই, তা-ও নয়। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া জরুরি। খেতে ভালবাসেন বলেই একসঙ্গে বেশি খেয়ে নেওয়া ঠিক হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy