অস্থিসন্ধিতে নানা কারণে ব্যথা হতে পারে। ব্যথার নেপথ্যে থাকতে পারে আর্থ্রাইটিস, চোট-আঘাত এবং কি অস্ত্রোপচার। এই ধরনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা বা গরম সেঁক উপকারী। কিন্তু কখন কোনটি ব্যবহার করা উচিত, তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। ফলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন:
কখন গরম সেঁক
গরম সেঁক আঘাতের স্থানে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে গরম সেঁক চোটের স্থানে পেশিতে অক্সিজেন প্রবাহে সাহায্য করে। তার ফলে আঘাতের স্থানে দ্রুত নমনীয়তা ফিরে আসে।
১) পেশির নমনীয়তা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে গরম সেঁক।
২) অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে ব্যথা বাড়লে গরম সেঁকে উপকার মেলে।
৩) শরীরচর্চার আগে অনেক সময় গরম সেঁকের ফলে পেশির নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়। তার ফলে চোট-আঘাত অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব হয়।
সতর্কতা
তবে চোটের ঠিক পরেই সেখানে গরম সেঁক দেওয়া উচিত নয়। তার ফলে অনেক সময় প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে। তাই ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে তার কম কম গরম কোনও হিটিং প্যাড বা তোয়ালের মাধ্যমে ব্যথার যায়গায় সেঁক দেওয়া যেতে পারে।
কখন ঠান্ডা সেঁক
ঠান্ডা সেঁকের ক্ষেত্রে ব্যথার স্থানে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। তার ফলে ওই জায়গাটি অবশ হয়ে ওঠে। ফলে ব্যথার অনুভব কমে যায়।
১) শরীরের কোনও অংশ মচকে গেলে সেখানে ঠান্ডা সেঁক দিতে পারলে উপকার পাওয়া যায়।
২) চোটের জায়গা যদি ফুলে যায়, তা হলে ফোলা ভাব কমানোর জন্য ঠান্ডা সেঁক উপকারী।
সতর্কতা
ঠান্ডা সেঁকের ক্ষেত্রে বরফ বা আইস প্যাককে একটি কাপড়ের মধ্যে মুড়ে তার পর সেঁক দেওয়া উচিত। সরাসরি ব্যথার উপর ঠান্ডা প্রয়োগে অনেক সময়ে সেখানে ফ্রস্ট বাইট হতে পারে।