Advertisement
E-Paper

ওজন কমাতে ক্যালোরির ঘাটতি জরুরি, তবে এই পথে কাজ হচ্ছে কি না, বুঝবেন কী ভাবে?

শরীরে যদি ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি করা সম্ভব না হয়, তা হলে কিছুতেই ওজন কমবে না। কিন্তু ক্যালোরি কমিয়ে আদৌ যে লক্ষ্য পূরণ সম্ভব, আপনি ঠিক পথে এগোচ্ছেন বুঝবেন কী ভাবে?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:২৬
ওজন ঝরানেরা জন্য ঠিক পথে এগোচ্ছেন  কি না, বুঝে নিন ৫ লক্ষণ দেখে।

ওজন ঝরানেরা জন্য ঠিক পথে এগোচ্ছেন কি না, বুঝে নিন ৫ লক্ষণ দেখে। ছবি: ফ্রিপিক।

নতুন প্রজন্মের একাংশ স্বাস্থ্য সচেতন। কেউ সু্স্থ থাকতে শরীরচর্চা করেন, কারও লক্ষ্য নির্মেদ-সুন্দর চেহারা। কেউ চান স্বপ্নের নায়কদের মতো শরীর গড়তে। উদ্দেশ্য যাই- হোক না কেন, বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলাটা জরুরি। আর এই কাজের জন্য প্রয়োজন ক্যালোরির মেপে খাওয়া। শরীরে যদি ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি করা সম্ভব না হয়, তা হলে কিছুতেই ওজন কমবে না। কিন্তু ক্যালোরি কমিয়ে আদৌ যে লক্ষ্য পূরণ সম্ভব, আপনি ঠিক পথে এগোচ্ছেন বুঝবেন কী ভাবে?

ফিটনেস প্রশিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, আগে ক্যালোরির ঘাটতির বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া দরকার। কারও যদি দৈনিক ১৮০০ কিলোক্যালোরির প্রয়োজন হয় তাঁকে ১৩০০ ক্যালোরি খেতে হবে। এতে ৫০০ ক্যালোরির ঘাটতি হবে শরীরে। তবে শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মের জন্য দৈনিক ১৮০০ কিলোক্যালোরির দরকার হলে কেউ যদি সেই পরিমাণ খাবার খান, তাতেও অসুবিধা নেই। তবে তাঁকে শরীরচর্চা করে অন্তত ৪০০-৫০০ ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি হলে শরীরে, সঞ্চিত মেদ থেকে শক্তি সংগ্রহ করে। ফলে ধীরে ধীরে মেদ গলে এবং ওজন কমে।

শরীরের উচ্চতা, ওজন, কত দিনে কতটা ওজন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার উপর নির্ভর করে দৈনন্দিন কতটা খাবার খেতে হবে। তবে সঠিক ভাবে ওজন কমাতে ৩০০-৫০০ ক্যালোরি দৈনিক ঘাটতি রাখার পরামর্শ দেন ফিটনেস প্রশিক্ষকেরা। তবে খাওয়া কমিয়ে, শরীরচর্চা করে কেউ যে ঠিক পথে এগোচ্ছেন, বুঝবেন কী ভাবে?

সমাজমাধ্যমপ্রভাবী ফিটনেস প্রশিক্ষক সিনা কাভোস ৬টি লক্ষণের কথা বলেছেন, যেগুলি দেখে কেউ বুঝে নিতে পারেবন তিনি ঠিক পথে এগোচ্ছেন কি না।

১। প্রতি সপ্তাহে খুব সামান্য হলেও ওজন কমছে কি না খেয়াল রাখা দরকার। যদি ৩-৪ সপ্তাহে ওজন একেবারেই না কমে, তা হলে বুঝতে হবে কোথাও গলদ আছে।

২। শরীরচর্চা আগের মতোই করতে পারছেন, স্কোয়াট থেকে যোগাসন সবই একই মাত্রায় করা সম্ভব হচ্ছে। আচমকা ক্লান্তি আসছে না।

৩। হালকা ক্লান্তি থাকলেও, তা মাত্রাতিরিক্ত নয়। যদি দিনভর কোনও কাজ করতে ইচ্ছা না হয়, বেশি ঘুম পায়, ঝিমুনি আসে। তা হলে বুঝতে হবে শরীরে পুষ্টির খামতি হচ্ছে, যা ঠিক নয়।

৪। খিদে পেলেও তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে। মাঝরাতে উঠে ফ্রিজ খুলে খেতে হলে বুঝতে হবে, খাওয়ার পরিমাণ বেশি কমে গিয়েছে। খাওয়া একবারে না কমিয়ে ধীরে ধীরে তার পরিমাণ কমানো দরকার।

৫। জামাকাপড় আলগা হচ্ছে কি না, খেয়াল করা দরকার। ক্যালোরি ঘাটতি কমিয়ে মেদ ঝরলে, এই লক্ষণটিও গুরুত্বপূর্ণ।

একইসঙ্গে জরুরি হল পর্যাপ্ত ঘুম। ঘুম না হলে শরীরচর্চার ফলে পেশির যে ক্ষয় হয়, সেটির পুনরুজ্জীবন সম্ভব নয়।খাওয়া কমিয়ে যদি মাসের পর মাস চেহারায় বদল না আসে, ওজন না কমে তা হলে বোঝা দরকার ডায়েটে বা শরীরচর্চায় কোথাও কোনও ভুল রয়ে গিয়েছে।

Calorie Defecit Weight Loss Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy