ওজন কমাতে খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানার কথা ভাবছেন অনেক দিনই। কিন্তু তা আর হয়ে উঠছে কোথায়! রোজই ভাবছেন, ডায়েট শুরু করবেন, কিন্তু লোভনীয় খাবার দেখলে আর ডায়েট মেনে চলার কথা মাথাতেও আসে না। ফলে ওজন কমা তো দূর, হজমের সমস্যাও বেড়ে চলেছে দিনের পর দিন। ওজন যদি কমাতেই হয়, তা হলে খুব কম খেয়ে বা উপোস করে রোগা হওয়ার চেষ্টা করা বৃথা। তার চেয়ে শরীরে জমা মেদ কমবে কী উপায়ে, তা নিয়ে ভাবা জরুরি। তার জন্য ওজন কমানোর ওষুধ খাওয়ারও দরকার নেই, বরং জাদু করবে একটি বিশেষ পানীয়।
ওজন কমাতে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খান অনেকেই। তবে সেটি শুধু খেলে হবে না। তার সঙ্গে মেশাতে হবে আরও একটি জিনিস। শুনলে অবাক লাগবে, অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে মোরিঙ্গা পাউডার বা সজনেপাতার গুঁড়ো মেশালে, পেটের মেদ দ্রুত কমবে।
সজনেপাতার সঙ্গে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মেশালে যে ওজন কমতে পারে, তা লেখা হয়েছে ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্সেস’-এ। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে রয়েছে অ্যাসেটিক অ্যাসিড, যা শরীরে জমা মেদ ঝরাতে পারে। শুধু তাই নয়, রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার অ্যান্টি-ডায়াবেটিক। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বৃদ্ধি করে। আর সজনে পাতার গুণাগুণ নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। বাঙালির হেঁশেলে সজনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই বিষয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মলিকিউলার সায়েন্সেস’-এ বলা হয়েছে, সজনের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ, সি, ই, ক্যালশিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ সজনে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে।
আরও পড়ুন:
কাজেই অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে যদি সজনেপাতার গুঁড়ো মেশানো হয়, তা হলে এই উপকরণ মিশে গিয়ে অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে পারে খুব তাড়াতাড়ি। পাশাপাশি রক্তে জমা খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল)-এর মাত্রাও কমাতে পারে।
কী ভাবে বানাবেন অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মোরিঙ্গা?
এক কাপ ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার, আধ চামচ মোরিঙ্গা পাউডার মেশাতে হবে। স্বাদ বৃদ্ধি করতে তাতে মেশাতে পারেন এক চিমটে দারচিনির গুঁড়ো বা অর্ধেক পাতিলেবুর রস। এই পানীয় রোজ পান করলে খুব তাড়াতাড়ি পেটের মেদ কমে যাবে। তবে যদি অম্বলের ধাত বেশি থাকে, তা হলে এই পানীয় খাবেন কি না, তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে হবে।