‘ওয়েট ট্রেনিং’ ছাড়া হৃতিকের মতো পেশি বহুল শরীর পাওয়া সম্ভব নয়। ছবি: সংগৃহীত।
প্রিয় তারকার মতো পেশিবহুল ‘অ্যাবস’ গড়ে তোলার লক্ষে শরীরচর্চা করতে শুরু করেন। বেশির ভাগেরই নজর থাকে ভারী ওজন তোলার দিকে। কম-বেশি সকলেই জানেন ওজন তুললে দেহের পেশি মজবুত হবে। তবে ঠিক কত দিন এবং কী ভাবে ওজন তুললে এই পেশি তৈরি হবে, সে বিষয়ে অনেকেরই কোনও ধারণা নেই। প্রশিক্ষকেরা বলেন, শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়েও পেটে ভাঁজ তৈরি করা একেবারেই সহজ কাজ নয়। নিয়মিত ভার তোলার সঙ্গে খাবারের উপর বিশেষ ভাবে নজর দিতে হয়।
পেশি তৈরির মূল উপাদানই হল প্রোটিন। প্রিয় তারকাদের শরীর জুড়ে যে ভাঁজগুলিতে সাধারণ মানুষের চোখ আটকে যায়, তা ওই প্রোটিনের জন্য। প্রতিনিয়ত ‘প্রোটিন সিন্থেসিস’ পদ্ধতির মাধ্যমে শরীরে এমন ভাবেই ‘অ্যাব্স’ গড়ে ওঠে। প্রোটিন খেতে বলার মানে সারা দিনে এক বার ‘চিকেন স্টু’ খেয়ে নেওয়া নয়। এ ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদদের মত, যাঁরা এই ধরনের ‘ওয়েট ট্রেনিং’ করেন, তাঁদের প্রতিটি খাবারের সঙ্গে অন্তত পক্ষে ২০ গ্রাম প্রোটিন থাকা আবশ্যিক। তবেই অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছনো সহজ হবে। সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা তো আছেই।
কী ভাবে শুরু করা উচিত?
পেশি তৈরির লক্ষ নিয়ে শরীরচর্চা শুরু করার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর দেহের নির্দিষ্ট জায়গার জন্য ‘ওয়েট ট্রেনিং’ শুরু করা উচিত। মাঝে কোনও বিরতি ছাড়াই একটানা ১৫ দিন একই ভাবে শরীরচর্চা করে যেতে পারলে ভাল। তবেই আশানুরূপ ফল নজরে পড়বে। তবে আদুল গায়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ‘সিক্স প্যাক্স’ নজরে আসা মাত্রই কাজ শেষ হয়ে গেল এমনটা ভেবে নেওয়ার কিন্তু কোনও কারণ নেই। পেটের পেশি মজবুত করার পাশাপাশি পুরো দেহের মেদ ঝরানোর দিকেও মন দিতে হবে। গোটা শরীরের বিভিন্ন অংশ সুঠাম করার জন্য সপ্তাহে পাঁচ দিন ‘হাই ইন্টেনসিটি ট্রেনিং’ করলে ভাল হয়। অতিরিক্ত ক্যালোরি পুড়িয়ে ফেলার পাশাপাশি শরীরে শক্তির জোগান যেন ঠিক থাকে, সে দিকেও নজর দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy