—ফাইল চিত্র।
বিমানে চেপে ঘুরতে যাবেন। যাওয়া থেকে ফেরা পর্যন্ত একাধিক ছবি তো উঠবেই। তাই চশমা নয়, কন্ট্যাক্ট লেন্স পরার পক্ষপাতী অনেকেই। কিন্তু চিকিৎসেকরা বলছেন, বিমানে চেপে ঘুরতে গেলে দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকতে হয়। চাইলেও খুব বেশি হাঁটাচলা করার উপায় থাকে না। অনেকটা সময় এক ভাবে বসে থাকলে শারীরে অস্বস্তি হতেই পারে। ঘুরতে যাওয়ার সময় সুবিধার জন্য অনেকেই ঢিলেঢালা পোশাক পরেন। তবে শুধু পোশাক নয়, আরও কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখা জরুরি।
১) আঁটসাঁট অন্তর্বাস
ঘুরতে যাওয়ার সময়ে ঢিলেঢালা পোশাক পরতেও পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু অন্তর্বাস নিয়ে কেউ খুব একটা মাথা ঘামান না। চিকিৎসকেরা বলছেন, অন্তর্বাসের শক্ত ইলাস্টিক কোমর, কুঁচকি, পিঠ, স্তনের ভাঁজে চেপে বসে যায়। দীর্ঘ ক্ষণ এই অবস্থায় থাকলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ভাবে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা একটানা বিমানে এক জায়গায় বসে থাকলে পায়ের উপরেও অতিরিক্ত চাপ পড়ে। পা অবশও হয়ে যেতে পারে।
২) ইলাস্টিক না দেওয়া কোমরের বেল্ট
আসন থেকে ওঠা বা বসার সঙ্গে সঙ্গে দেহের বিভিন্ন অংশ সঙ্কুচিত এবং প্রসারিত হয়। তাই বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, দেহের আকারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, এমন পোশাক পরতে পরামর্শ দেন। কোমরে দড়ি বাঁধা পেটিকোট বা চুড়িদার পরে দীর্ঘ ক্ষণ বিমানে বসে থাকলে রক্তজামাট বেঁধে যেতে পারে। সেখান থেকে ‘ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস’-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওই ধরনের পোশাকের বদলে কোমরে ইলাস্টিক দেওয়া স্কার্ট, ট্রাউজ়ার্স, শর্টস পরা যেতেই পারে। সঙ্গে বিমানের আসনে বসেই অল্পবিস্তর শরীরচর্চা করা যাবে।
৩) কন্ট্যাক্ট লেন্স
নির্দিষ্ট একটি উচ্চতায় যাওয়ার পর বিমানের অন্দরের আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে চোখের উপরের স্তরের জলীয় পদার্থও শুকিয়ে যায়। অনেকেরই ‘ড্রাই আইজ়’-এর সমস্যা বেড়ে যায়। এ সময়ে চোখে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে যদি কন্ট্যাক্ট লেন্স পরে থাকেন, সে ক্ষেত্রে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই লেন্সের বদলে চশমা পরার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy