সূর্য পাটে যেতে বসলেও ঘুম ভাঙতে চায় না? ছবি- সংগৃহীত
শরীর ভাল রাখতে যে ঘুমের প্রয়োজন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও ঘুমের প্রয়োজন আছে। শারীরবৃত্তীয় নানা কার্যকলাপ সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্যেও ঘুম জরুরি। চিকিৎসকদের মতে, বয়স, শারীরিক সক্রিয়তা এবং স্বাস্থ্যের ধরন অনুযায়ী সকলেরই ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল স্লিপিং ফাউন্ডেশন’ একটি গবেষণায় উল্লেখ করেছে, ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সি মানুষদের ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট। কিন্তু যাঁদের ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমোনোর অভ্যাস রয়েছে, তাঁদের রোগব্যধি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।
বেশি ঘুমোলে কোন কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়?
১) মানসিক অবসাদ
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে শরীরে বা মনে তরতাজা ভাব থাকে। অতিরিক্ত ঘুমিয়ে বেলায় উঠলে আলস্য লাগে, চনমনে ভাব থাকে না। কোনও কাজেই তেমন উৎসাহ পাওয়া যায় না।
২) প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়া
দীর্ঘ ক্ষণ ঘুমোলে শারীরিক সক্রিয়তা অনেকটাই কমে যায়। ফলে মহিলা এবং পুরুষ উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব পড়ে। শারীরিক ভাবে সক্ষম না থাকলে, প্রজননে সাহায্যকারী হরমোনগুলির ভারসাম্যও নষ্ট হয়।
৩) স্থূলতা
বেশি ঘুমোলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সব রোগও বাড়তে থাকে ঘুমের সঙ্গেই।
৪) হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা
বেশি ঘুমোলে দিনের অনেকটা সময় শুয়ে শুয়েই অতিবাহিত হয়ে যায়। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে যেটুকু শরীরচর্চা প্রয়োজন, রোজ সেইটুকু করতে না পারলে হার্টের সমস্যা হবেই। শুধু তা-ই নয়, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা বাড়াতে পারে রক্তের এমন সব গোলমাল ঘটাতে পারে ঘুমের পরিমাণ।
৫) রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া নির্ভর করে কোনও ব্যক্তি কেমন ভাবে জীবনযাপন করছেন, তার উপর। কারণ, তাঁর সারা দিনের খাওয়াদাওয়া, কাজ, শরীরচর্চা এই সব কিছুর প্রভাব পড়ে ওই ব্যক্তির বিপাকহারের উপর। দিনের বেশির ভাগ সময়ে যদি ঘুমিয়েই কাটে, সে ক্ষেত্রে কোনও রুটিনই সঠিক ভাবে মেনে চলা যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy