অনেকেরই পরিমাণে কম হলেও ঘন ঘন শ্বেতস্রাব হয়। ছবি: সংগৃহীত।
শ্বেতস্রাব বা লিউকোরিয়া মহিলাদের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ সমস্যা। অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত থাকেন। শ্বেতস্রাবের পরিমাণ যদি বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি চিন্তার হয়ে উঠতে পারেন বলে মত চিকিৎসকদের। মূলত ডিম্বাণু ফেটে শ্বেতস্রাব নির্গত হয়। ঋতুস্রাব হওয়ার আগে এবং পরে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর এটি হয় মূলত। পরিমাণে যাই হোক, শ্বেতস্রাব হলে শরীর দুর্বল হয়ে। কোনও কাজে গতি পাওয়া যায় না। অনেকেরই পরিমাণে কম হলেও ঘন ঘন শ্বেতস্রাব হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই লক্ষণ স্বাস্থ্যকর নয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা ছাড়াও নিয়ম করে কয়েকটি শরীরচর্চা করা জরুরি। তা হলে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এই সমস্যা।
উষ্ট্রাসন
হাঁটু গেড়ে বসুন। পিছনের দিকে খানিকটা হেলে হাত দু’টি দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরুন। এর পর মাথা পিছনের দিকে ঝুলিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে পেটের অংশটা সামনের দিকে এগিয়ে দিন। ডান হাতের বুড়ো আঙুলটি ডান দিকের গোড়ালির ভিতর দিকে রেখে বাকি সব আঙুল বাইরের দিকে রাখুন। বাঁ দিকের ক্ষেত্রেও একই ভাবে রাখুন। পায়ের পাতা মাটিতে রাখুন। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে শবাসন করে শুরুর অবস্থায় ফিরে যান। শ্বেতস্রাবের সমস্যা কমাতে নিয়ম করে এই আসনটি করতে পারলে ভাল।
শশাঙ্গাসন
প্রথমে হাঁটু গেড়ে বসুন। তার পর মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে চেষ্টা করুন কপাল দিয়ে হাঁটু ছুঁতে। এ বার হাত দিয়ে দু’পায়ের গোড়ালি ধরুন। স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। তার পর ধীরে ধীরে মাথার তালু মাটিতে ছুঁইয়ে দশ বার গুনে ছেড়ে দিন। বেশ কয়েক দিন করলেই শ্বেতস্রাবের সমস্যা দূরে থাকবে।
ভদ্রাসন
এই আসনটি করা অত্যন্ত সহজ এবং উপকারীও। ভদ্রাসন করতে প্রথমে মাটিতে হাঁটু মুড়ে বসুন। তারপর দুই পায়ের পাতা সামনের দিকে জুড়ে দিন। দুই হাত দিয়ে পায়ের দু’পাতা চেপে ধরে হাঁটু টানটান করে পা সোজা করুন। পশ্চাত, হাঁটু এবং পায়ের হাঁড়ের জন্য এই আসন খুব উপকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy