কানে ঝিঁ-ঝিঁ ডাকলে তা সারবে ব্যায়ামে। ছবি: সংগৃহীত।
ভরদুপুরে কোথাও শঙ্খ বাজছে না। বাড়ির আশপাশে তেমন কোনও স্কুলও নেই যেখানে ঘণ্টা পড়তে পারে। অথচ কানের মধ্যে একটানা কী যেন বেজে চলেছে! স্নান করার সময়ে কানে জল ঢুকলে বা ঠান্ডা লাগলে অনেক সময়েই কানে তালা লাগে। তা কিছু ক্ষণের মধ্যে ঠিকও হয়ে যায়। কিন্তু একটানা কানে ঝিঁ-ঝিঁ লেগে থাকা আসলে এক ধরনের অসুখ। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘টিন্নিটাস’।
এই ‘টিন্নিটাস’-এর আবার দু’টি ভাগ রয়েছে। প্রথমটিতে, রোগীর কানে একনাগাড়ে ঝিঁ-ঝিঁ ডাকে বা শঙ্খ বাজতে থাকে। যা বাইরে থেকে কেউই শুনতে পান না। দ্বিতীয়টিতে আবার রোগী এবং চিকিৎসক দু’জনেই টের পান যে, কানের ভিতরে কোনও আওয়াজ হচ্ছে।
নাক, কান এবং গলার চিকিৎসকদের মতে, কানে দীর্ঘ দিন ময়লা জমতে থাকলে, কিংবা দীর্ঘ ক্ষণ কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনলেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কানে এই ধরনের আওয়াজ হলে বুঝতে হবে, মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত কানের স্নায়ুগুলিতে কোনও সমস্যা রয়েছে। এই আওয়াজ অবশ্য এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সিদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দিলেও কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে।
এই রোগ থেকে মুক্তির উপায় কী?
এই ধরনের সমস্যার প্রাথমিক চিকিৎসা হল ব্যায়াম। কিন্তু পরিস্থিতি যদি জটিল হয়, সে ক্ষেত্রে ‘ম্যাগনেটিক মেথড’-এ চিকিৎসা করা হয়। যদিও এই ধরনের চিকিৎসা যথেষ্ট ব্যয়বহুল।
কী ধরনের ব্যায়াম করলে কানে ঝিঁ-ঝিঁ লাগার সমস্যা কমতে পারে?
১) বালাসন
হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিতে মেঝেতে বসুন। এ বার আস্তে আস্তে সারা শরীর পিছনে নিয়ে গিয়ে নিতম্ব পায়ের গোড়ালির উপর রাখুন। কপাল মাটিতে ঠেকান। হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে তালু উল্টো করে পায়ের কাছে রাখুন। মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কমাতে সহায়তা করে এই যোগাসন। দেহে রক্তসঞ্চালনের প্রক্রিয়াকেও স্বাভাবিক রাখে।
২) মার্জারাসন
প্রথমে মাটিতে দুই পা এবং হাতের উপর ভর দিয়ে বিড়ালের মতো ভঙ্গি করুন। এর পর এক বার পেট ফুলিয়ে মাথা নিচু করে শ্বাস নিন, আবার পেট ঢুকিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এই আসন অভ্যাস করুন ৫ বার করে অন্ততপক্ষে ৫ মিনিট।
৩) পশ্চিমোত্তনাসন
সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। পায়ের পাতার অভিমুখ রাখুন আপনার দিকে। শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। এ বার শ্বাস নিন। দুটো হাত একসঙ্গে মাথার উপর সোজা করে তুলুন। এর পরে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার আস্তে আস্তে সামনের দিকে ঝুঁকুন। দুটো হাত গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছলে একটির কব্জি দিয়ে আর একটি ধরে রাখুন। মাথা রাখুন হাঁটুতে। এর পর শ্বাস ছাড়ুন। খেয়াল রাখুন, শিরদাঁড়া যেন সামনের দিকে প্রসারিত থাকে। শ্বাস নিন। এর পরে আস্তে আস্তে দুটো হাত সরিয়ে মাথার উপর নিয়ে গিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার হাত দুটো নামিয়ে নিয়ে আগের ভঙ্গিতে ফিরে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy