প্রতি বছর ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথি থেকে শুরু হয় পিতৃপক্ষ। চলে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত। এই ১৫ দিন পালিত হয় পিতৃপক্ষ। এর পর শুরু হয় দেবীপক্ষ। এই বছর সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে পিতৃপক্ষ। কথিত আছে, এই সময়কালে পূর্বপুরুষেরা তাঁদের উত্তরপুরুষদের হাত থেকে জলগ্রহণের জন্য মর্ত্যে নেমে আসেন।
পূর্বপুরুষেরা যদি কোনও কারণে আমাদের প্রতি ক্ষুণ্ণ হন, তা হলে জীবনে নেমে আসে ঘোর অমঙ্গল। পিতৃদোষের ফলে সমস্ত কাজে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। জীবন থেকে সুখ মুছে যায়। অর্থসঙ্কট হয় নিত্য দিনের সঙ্গী। অসুস্থতাও পিছু ছাড়তে চায় না।
পূর্বপুরুষদের খুশি রাখার জন্য শাস্ত্রে নানা টোটকার কথা উল্লেখ রয়েছে। বহু বাড়িতেই ভূত চতুর্দশীর সময় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে বাড়ির নানা স্থানে প্রদীপ জ্বালানোর রেওয়াজ রয়েছে। পিতৃপক্ষ চলাকালীনও এই কাজটি করা উচিত বলে মনে করছে শাস্ত্র। যে কোনও প্রদীপ জ্বালানো যেতে পারে। শাস্ত্র বলছে, বাড়ির কয়েকটি জায়গায় এই সময় প্রদীপ জ্বালানোর ফলে পিতৃপুরুষেরা খুশি হন।
বাড়ির কোন কোন জায়গায় প্রদীপ জ্বালাবেন?
দক্ষিণ দিক: রোজ সন্ধ্যাবেলা বাড়ির দক্ষিণ দিকে প্রদীপ জ্বালাতে পারলে খুব ভাল হয়।
সদর দরজা: পিতৃপক্ষ চলাকালীন প্রতি দিন সন্ধ্যাবেলা বাড়ির সদর দরজার সামনে প্রদীপ জ্বালতে পারেন।
পূর্বপুরুষদের ছবির সামনে: এই ১৫ দিন পূর্বপুরুষদের ছবির সামনে অবশ্যই প্রদীপ জ্বালাতে হবে।
আরও পড়ুন:
উত্তর-পূর্ব দিক: বাড়ির দক্ষিণ দিকের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণেও প্রদীপ জ্বালাতে হবে।
অশ্বত্থ গাছ: বাড়িতে অশ্বত্থ গাছ থাকলে সেটির তলায় প্রদীপ জ্বালানো আবশ্যিক। বাড়িতে যদি সেই গাছ না থাকে, তবে বাড়ির আশপাশে কোথাও অশ্বত্থ গাছ থাকলে সেটির তলায় প্রদীপ জ্বালানো যেতে পারে।