গোমেদ পরার নিয়ম কী? প্রতীকী ছবি।
রাহু কেতু কী? সমুদ্র মন্থন করে অমৃত লাভ করলে ওই অমৃত পানের জন্য ছলনা করে রাক্ষস স্বরভানু দেবতা গণের সহিত অমৃত পান করেন। সূর্য এবং চন্দ্র ওই ঘটনা দেখে তৎক্ষণাৎ ভগবান বিষ্ণুকে বিষয়টি জানালে ভগবান বিষ্ণু সুদর্শন চক্র দ্বারা স্বরভানুর দেহ থেকে মস্তক ছিন্ন করেন। দ্বিখণ্ডিত দেহের মস্তক ভাগ রাহু এবং দেহভাগ কেতু নামে গ্রহের স্থান পায়। এ তো গেল পৌরাণিক কাহিনি।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে রাহু-কেতুর অন্যান্য গ্রহের ন্যায় শারীরিক কোনও অস্তিত্ব নেই। রাহু-কেতু গাণিতিক বিন্দুমাত্র (নোড)। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে রাহুর গুরুত্ব অপরিসীম। রাহুর গুরুত্বের কারণে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে শনির ন্যায় রাহু বলা হয়। রাহু পার্থিব চাহিদা বৃদ্ধি করে। রাহু ভ্রম দান করে। যে ঘরে অবস্থান করে তার ফল বৃদ্ধি করে (শুভ বা অশুভ তার উপর নির্ভর করে)।
রাহু শুভ হলে জীবনে প্রবল উচ্চাশার সঞ্চার করে। অশুভ রাহু অর্থ ক্ষয়, শত্রু দ্বারা পরাস্ত, শত্রু বৃদ্ধি, দৈহিক মানসিক চাপ অশুভ ফল দান করে।
পেটের রোগ, গনোরিয়া, আলসার রোগের উপর রাহুর প্রভাব। অশুভ রাহু রোগ নির্ণয়ে ব্যঘাত ঘটায়।
রাহুর প্রতিকারে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় গোমেদ। গোমেদ নরম, গোমেদের আপেক্ষিক গুরুত্ব ৩.৫৫–৩.৬৬। কাঠিন্য ২.৭।
রাহু তৃতীয়, নবম, দশম এবং একাদশের সহিত সম্পর্ক করলে গোমেদ ধারণে শুভ ফল মেলে।
গোমেদের সহিত চুনি, লাল প্রবাল, মুক্তো ধারণ করা যেতে পারে।
গোমেদের সহিত নীলা, পান্না এবং ক্যাটসআই ধারণ করা উচিৎ নহে।
কখন এবং কী ভাবে ধারণ করা উচিত?
বুধবার অথবা শনিবার শোধন করে গোমেদ ধারণ করা উচিত।
রাহু বৃহস্পতি অথবা মঙ্গলের রাশিতে অবস্থান করলে সোনা অন্যথায় রুপোতে ধারন করা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy