২৩ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয় ভাইফোঁটা। ভাইফোঁটা হল ভাই ও বোনের সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করার উৎসব। দেশের প্রায় সকল প্রান্তে থাকা হিন্দু ধর্মাবলম্বী সানন্দে এই উৎসব পালন করেন। বোন বা দিদিরা তাঁদের দাদা বা ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করে কপালে মঙ্গলটিকা এঁকে দেন। তার পর দাদারা বোনেদের আশীর্বাদ করেন, দিদিরা ভাইদের। সব শেষে মিষ্টিমুখ ও উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান শেষ হয়। তবে ফোঁটা দেওয়ার ব্যাপারে নানা জিনিস মাথায় রাখতে হয়। ভুল কিছু করে ফেললে ভাইয়ের মঙ্গল সাধন হওয়ার বদলে খারাপ হয়ে যেতে পারে। সেটি কারও কাছেই কাম্য নয়। তাই কিছু কাজ রয়েছে সেগুলি ভাইফোঁটার দিন ভুলেও করা যাবে না। জেনে নিন কী কী।
আরও পড়ুন:
ভাইফোঁটার দিন কোন কাজগুলি করা যাবে না?
- ভাই দূরে থাকলেও তাঁর উদ্দেশে তিলক লাগানো জরুরি। ভাই বাড়িতে নেই বলে যে ফোঁটা দেবেন না সেটি যেন না হয়। ভাইকে মনে রেখে দেওয়ালে ফোঁটা দিতে হবে। ভাইফোঁটার মন্ত্রও উচ্চারণ করতে হবে।
- ভাইফোঁটা দেওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না। সময় নিয়ে, সঠিক নিয়ম মেনে ভাইফোঁটা দিতে হবে।
- অনেকে কাজলের ফোঁটা দেন। তবে এই ফোঁটা না দেওয়াই ভাল বলে মনে করা হচ্ছে। ভাইফোঁটায় কালো রং না ব্যবহার করাই ভাল হবে। কালো রংকে যে হেতু অশুভ মনে করা হয়, তাই শাস্ত্রে এই নিদানের উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন:
- সন্ধ্যার বদলে সকালবেলার সময়টাই ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার জন্য আদর্শ। সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার পাট চুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। সন্ধ্যায় ভাইকে ফোঁটা দেওয়া ঠিক নয় বলে মনে করা হয়।
- ফোঁটা দেওয়ার আগে ভাইকে মিষ্টি খাওয়াবেন না। তাঁর থেকে উপহারও নেবেন না। ফোঁটা দেওয়া ও প্রদীপের তাপ দেওয়ার পর ভাইকে মিষ্টি খাওয়াতে হবে। তার পর তাঁর থেকে উপহার নিতে হবে। না হলে পূর্ণ সুফল প্রাপ্তি হবে না।