লক্ষ্মী দেবীকে সন্তুষ্ট রাখতে আমরা নানা উপায় পালন করে থাকি। দেবী খুশি থাকলে বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধির কোনও অভাব থাকে না। কিন্তু আমরা নিজেরাই নিজেদের অজান্তে বাড়িতে এমন কিছু কাজ করে ফেলি, যার ফলে আমাদের ক্ষতি হয়ে যায়। কিছু কাজ রয়েছে যা বাড়িতে কখনও করতে নেই। এই কাজগুলো করলে মা লক্ষ্মী খুবই অসন্তুষ্ট হন এবং গৃহের অমঙ্গল ঘটে। এগুলো আমাদের কিছু খারাপ অভ্যাস, যা আমাদের অবশ্যই ত্যাগ করা উচিত।
আরও পড়ুন:
দেখে নেব কাজগুলি কী কী এবং কোন অভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন:
- গুরুজনদের অসম্মান:
যে কোনও পরিস্থিতিতে বাড়ির গুরুজনদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। যে বাড়িতে গুরুজনদের অসম্মান ও অবহেলা করা হয়, সেখানে মা লক্ষ্মী বসবাস করেন না। বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের সর্বদা যত্নে রাখতে হবে।
- হিংসা:
অপরের ভাল দেখলে হিংসা করা যাবে না। অন্যের উন্নতি দেখে বা অন্যের যে কোনও কাজে হিংসা করা খুবই খারাপ বলে মানা হয়। এর ফলে মা লক্ষ্মী অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হন এবং জীবনে নেমে আসে চরম দুর্গতি। এই অভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করা উচিত।
আরও পড়ুন:
- অহঙ্কার:
অহঙ্কার পতনের কারণ। অহঙ্কারের ফলে সাজানো জীবন তছনছ হয়ে যেতে বেশি সময় লাগে না। অহঙ্কার মানুষকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। বিশেষ করে অর্থের অহঙ্কার করা খুবই খারাপ। কারণ, অর্থের অহঙ্কার লক্ষ্মী দেবী একেবারেই সহ্য করতে পারেন না।
- অপরিষ্কার:
অপরিষ্কার থাকা মা লক্ষ্মীর খুবই অপ্রিয়। যেখানে ময়লা, সেখানে মা লক্ষ্মী এক মুহূর্তও বাস করেন না। তাই ঘরবাড়ি সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন:
- কাউকে ঠকানো:
পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক, কোনও মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা যাবে না। মা লক্ষ্মী এ সকল জিনিস একদমই পছন্দ করেন না। সর্বদা সত্যের পথে চলার চেষ্টা করতে হবে। কোনও মানুষকে ঠকিয়ে কিছু করা যাবে না।
- বাড়িতে ঝগড়ার পরিবেশ:
ঝগড়া-ঝামেলা সব বাড়িতেই হয়। চেষ্টা করতে হবে যতটা সম্ভব কম ঝামেলা করা যায়। দেবী লক্ষ্মী চিৎকার, ঝামেলা এ সব থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন। ফলে যে বাড়িতে ঘন ঘন বিবাদ বাধে, সেই বাড়িতে মা লক্ষ্মী থাকেন না বলে বিশ্বাস করা হয়।
আরও পড়ুন:
- রাতে দই খাওয়া:
দই খাওয়া খুবই ভাল এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে দই ব্যবহারও শুভ বলে মানা হয়। কিন্তু রাতে দই খাওয়া একেবারেই উচিত নয়, বিশেষ করে মহিলাদের। এতে লক্ষ্মী দেবীর কৃপা থেকে বঞ্চিত হতে হয়।