শিবের অত্যন্ত প্রিয় জিনিস রুদ্রাক্ষ। রুদ্রাক্ষের নাম শুনলেই তাই আমাদের মনে পড়ে যায় মহাদেবের কথা। রুদ্রাক্ষ নানা প্রকৃতির হয়। এক এক ধরনের রুদ্রাক্ষের উপকারিতাও ভিন্ন ভিন্ন। এটি গাছের ফল হলেও, এর মাহাত্ম্য বিশেষ। পুরাণ অনুযায়ী, দীর্ঘ তপস্যার পর শিব যখন নিজের চোখ খোলেন, তখন তাঁর চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। যেখানে তাঁর অশ্রুবিন্দু পড়ে সেখানে একটা রুদ্রাক্ষের গাছ উৎপন্ন হয়। মোট ১৪ ধরনের রুদ্রাক্ষ হয়। এরই মধ্যে অন্যতম হল তিনমুখী রুদ্রাক্ষ। তিনমুখী রুদ্রাক্ষের তিনটি মুখ ভগবান ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশের শক্তির প্রতীক হিসাবে পরিচিত। সঠিক নিয়ম মেনে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে নানা দিক থেকে উন্নতি লাভ করা যায়। জেনে নিন তিনমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের উপকারিতা ও নিয়ম।
আরও পড়ুন:
তিনমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের নিয়ম:
- শুক্লপক্ষের সোমবার তিনমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের জন্য শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়।
- যে কোনও রুদ্রাক্ষই পরার আগে সেটিকে শুদ্ধ করতে হয়। তিনমুখীর ক্ষেত্রেও সেটিকে ধারণ করার আগে ভাল করে গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
- লাল বা হলুদ সুতোয় বেঁধে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারলে ভাল হয়। রুদ্রাক্ষ ধারণের আগে শিবের মন্ত্র জপ করা আবশ্যিক।
- যে কোনও রুদ্রাক্ষ ধারণের আগে এক বার অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নিয়ে নিতে পারলে খুব ভাল হয়।
আরও পড়ুন:
তিনমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের উপকারিতা:
১। তিনমুখী রুদ্রাক্ষ আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। উদ্বেগ কমিয়ে মনে সাহস জোগায়। এর ফলে আমরা নিশ্চিন্তে যে কোনও কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি।
২। মঙ্গল হল তিনমুখী রুদ্রাক্ষের শাসক গ্রহ। ফলত এটি ধারণে মঙ্গলের খারাপ প্রভাবের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বদলে জীবনে মঙ্গলের সুপ্রভাব পড়তে দেখা যায়।
৩। আমাদের নেগেটিভ চিন্তাধারা কমাতে সাহায্য করে তিনমুখী রুদ্রাক্ষ। বদলে পজ়িটিভ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
৪। শারীরিক নানা সমস্যার থেকেও আমাদের রক্ষা করে এই রুদ্রাক্ষ।