আমরা সকলেই মানি যে, বাড়ির মধ্যে ঠাকুরঘর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার মধ্যে বাস করে আমাদের ইষ্ট দেবতা। তাদের কৃপায় আমরা সুখ শান্তিতে জীবন কাটাই। তবে অবশ্যই সঠিক নিয়ম অনুসারে দেবতার পুজো করতে হবে। যদি তা না করা হয়, তা হলে জীবনে শান্তির পরিবর্তে মেনে আসবে অশান্তি। আমরা না জেনে না বুঝে এমন কিছু কাজ ঠাকুরঘরে করে থাকি, যা আমাদের অমঙ্গল সাধন করে থাকে।
তাই সঠিক নিয়ম না জেনে ঠাকুরঘর সাজানো বা ঠাকুরঘরের যে কোনও কাজ করা যাবে না। দেখে নেওয়া যাক কোন কাজগুলো ঠাকুরঘরে করা যাবে না—
• প্রথমেই দেখতে হবে ঠাকুরঘরের ভেতরের সাজসজ্জা। জেনে নিতে হবে, ঠিক কোন ধরনের জিনিস ব্যবহার করা উচিত ঠাকুরঘর সাজানোর জন্য।
• যে কাজটা ঠাকুরঘরে একেবারেই করতে নেই তা হল, ঠাকুর সিংহাসন ছাড়া কখনওই রাখতে নেই। ঠাকুর অবশ্যই সিংহাসনে রাখতে হবে। সবচেয়ে ভাল কাঠের সিংহাসন। তবে মার্বেল বা অন্য কোনও ধাতুর সিংহাসনেও রাখা যাবে।
আরও পড়ুন: ২০২০ সালে কর্ম ভাগ্য কেমন থাকবে এবং কোন রাশির কর্ম নিয়ে থাকবে সংশয়
• আমরা ঠাকুরকে যা কিছুই প্রসাদ হিসেবে অর্পণ করি, তা কখনওই পাঁচ সাত দিন ধরে ঠাকুরঘরে কিনে এনে রাখা যাবে না। অনেকেই এমনটা করে থাকেন। এ রকম করা ঠিক নয়। ঠাকুরকে অর্পণ করার প্রসাদ ঠাকুরঘরের বাইরে রাখতে হবে এবং যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু ঠাকুরকে সাজিয়ে দিতে হবে।
• দেবতার উদ্দেশ্যে আতপ চাল ছাড়া অন্য কোনও চাল ব্যবহার করা যাবে না।
• যে আসন পেতে বসে পুজো করা হবে, সেই আসন কখনওই অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না। সকলের জন্য আলাদা আলাদা আসন রাখতে হবে।
• একই সিংহাসনে একই রকম দুটো ঠাকুর বা শঙ্খ রাখতে নেই।
• ঠাকুরঘরে পুরনো ক্যালেন্ডার রাখা যাবে না।
• যদি প্রদীপ জ্বালানো হয়, তা হলে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে যেন পুজোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেন প্রদীপ জ্বলে। মাঝ পথে নিভে না যায়।
• অতিরিক্ত উগ্র গন্ধ যুক্ত ধূপ বা ফুল ব্যবহার করা যাবে না।
• পুজো করার সময় ঠাকুরের একেবারে মুখোমুখি বসতে নেই, একটু ডান বা বাম দিক চেপে বসে পুজো করতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy