ভগবান শিবকে সন্তুষ্ট করা সহজ। আমরা প্রায় সকলেই সেটা জানি। কিন্তু মহাদেব যেমন অল্পেই খুশি হন, তেমনই তিনি অল্পেই কুপিতও হন। তবে শিবের আশীর্বাদ যদি এক বার আপনার উপর বর্তায়, তখন স্বয়ং শনিদেবও আপনার ক্ষতি করতে পারবেন না। যে কোনও কাজেই সফল হবেন। রোগব্যধির চিন্তাও দূর হবে। তবে কেবল মহাদেবের পুজো করলেই তিনি খুশি হয়ে যাবেন না। তাঁকে ফুশি করার জন্য আরাধনার সঙ্গে সঙ্গে আরও কয়েকটি সহজ পন্থা মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন:
-
হনুমানজির আশীর্বাদে জীবন ভরে ওঠে সুখ-সমৃদ্ধিতে, দূর হয় অর্থকষ্ট! তাঁকে খুশি করার জন্য কী কী মেনে চলবেন?
-
মানি প্ল্যান্ট রাখলেই টাকার বৃষ্টি হবে না, সেটির যত্ন নিতে হবে সঠিক উপায়ে, রাখতে হবে নির্দিষ্ট একটি জায়গাতেই
-
ছ’মাসে পাঁচ দুর্ঘটনা, নেপথ্যে কি মঙ্গল-রাহু-কেতুর একই অক্ষে অবস্থান? বাকি ছ’মাস কেমন যাবে?
মহাদেবকে খুশি করার টোটকা:
১. প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ধ্যান করতে পারলে খুব ভাল হয়। এতে মহাদেব তুষ্ট হন। জীবনের নানা বাধা-বিপত্তিও দূর হয়।
২. প্রতি দিন স্নানের পর এক মনে ‘‘ওম নমঃ শিবা’’ মন্ত্রটি উচ্চারন করতে হবে। মহাদেব খুশি হবেন। এটি করার সময় অন্য কোনও দিকে মন দেওয়া যাবে না।
৩. নিয়মিত মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করতে পারলে খুব ভাল হয়। তবে সঠিক নিয়ম মেনে এই মন্ত্র পাঠ করতে হবে, নচেৎ নয়।
আরও পড়ুন:
৪. প্রতি সোমবার নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে হবে।
৫. ধুতরো, আকন্দ, অপবাজিতা ও বেলপাতা সহযোগে মহাদেবের পুজো করতে হবে।
৬. মহাদেবের মাথায় যে জল বা দুধ ঢালেন, তাতে ঘি ও মধু মেশাতে পারলে খুব ভাল হয়।
আরও পড়ুন:
৭. বস্তুগত জিনিসের প্রতি মোহমায়া ত্যাগ করতে হবে।
৮. গরীবদুঃখীদের সাধ্যমতো দান করতে পারলে খুব ভাল হয়। তারই সঙ্গে পশুপাখির প্রতিও দয়াবান হতে হবে।
৯. পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক মিথ্যে কথা বলা যাবে না। মহাদের মিথ্যে কথা বলা একদম পছন্দ করেন না।