প্রচুর পরিশ্রম করেও আমরা অনেক সময় পরিমিত টাকা উপার্জন করতে পারি না। যতই চেষ্টা করা যাক না কেন, অর্থসমস্যা কিছুতেই আমাদের পিছু ছাড়তে চায় না। এই অবস্থায় মন ভেঙে যায়, কোনও কিছু করার ইচ্ছাশক্তিও চলে যায়। জীবনে টাকার সমস্যা থাকলে কোনও কাজই ঠিকমতো করতে পারা যায় না। কিন্তু এর নেপথ্যে থাকতে পারে নানা কারণ। জন্মছকে গ্রহের খারাপ অবস্থান সেগুলির মধ্যে একটি হতে পারে। তবে সহজ কিছু পন্থা মানতে পারলে অর্থসমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। শাস্ত্রমতে, কয়েকটি সহজ টোটকার কথা বলা রয়েছে। সেগুলি নিষ্ঠাভরে পালন করলেই হবে অর্থসমস্যার সমাধান। সঙ্গে পাঠ করতে হবে সহজ কিছু মন্ত্র। জীবন থেকে আর্থিক কষ্ট বিদায় নেবে নিশ্চিত।
আরও পড়ুন:
অর্থকষ্ট তাড়ানোর টোটকা:
১. ঘর অগোছালো ও নোংরা রাখা যাবে না। কথিত রয়েছে, অগোছালো ঘরে মা লক্ষ্মী থাকতে পছন্দ করেন না। তাই ঘর গুছিয়ে না রাখলে শত চেষ্টা করলেও মা লক্ষ্মী আপনার কাছে আসবে না। তাই ঘর সব সময় গুছিয়ে রাখতে হবে।
২. প্রতি শনিবার করে কালো কুকুরদের খাবার খাওয়ান। এই কাজ করলে অর্থকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হয়।
৩. একটা পাত্রে কিছুটা নুন নিয়ে বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে রেখে দিন। এতে বাড়ির সমস্ত নেগেটিভ শক্তি দূর হবে, অর্থলাভের পথে থাকা বাধাও কেটে যাবে।
আরও পড়ুন:
৪. ভগবান কুবের ও মা লক্ষ্মীর উপাসনা করুন। তাঁদের আশীর্বাদে টাকাপয়সার সকল সমস্যা কেটে যাবে নিশ্চিত।
৫. টাকা রাখার জায়গায় একটা আয়না রাখুন। অনেকেই জানেন না যে আয়না সম্পদ আকর্ষণ করতে সাহায্য করে। ঘরে টাকা রাখার জায়গার আশপাশে একটা আয়না রাখতে পারলে আর্থিক সমস্যা কিছুটা হলেও আপনার পিছু ছাড়বে।
অর্থ আকর্ষণের জন্য কী কী মন্ত্র পাঠ করতে হবে?
গায়ত্রী মন্ত্র: গায়ত্রী মন্ত্র পাঠের গুণ অনেক। জীবনের অন্যান্য বহু সমস্যার সঙ্গে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করে এই মন্ত্র। নিষ্ঠাভরে, শান্ত মাথায় নিয়মিত গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করে দেখুন। নিজেই তফাত বুঝতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
কুবের মন্ত্র: ভগবান কুবের হলেন ধনসম্পদের দেবতা। প্রতি দিন সকালে উঠে স্নান করে কুবেরের মন্ত্র পাঠ করতে পারলে অর্থ সম্পর্কিত সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
গণেশ মন্ত্র: গণেশের আশীর্বাদে জীবন ধনসম্পদে ভরে ওঠে। তাই গণেশ মন্ত্র পাঠ করতে পারলেও ভাল ফল পাবেন। তবে নিষ্ঠা সহযোগে, মন দিয়ে মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে।