বজরংবলিকে তুষ্ট করা বড় কোনও ব্যাপার নয়। তিনি অল্পতেই খুশি হন, ভক্তের প্রার্থনাও শোনেন। তবে নিষ্ঠাভরে প্রভু হনুমানকে না ডাকলে তিনি রুষ্ট হন। সে ক্ষেত্রে মনের আশাও পূরণ হয় না। বজরংবলির আশীর্বাদ সঙ্গে থাকলে বহু কঠিন পরিস্থিতিকে খুব সহজেই মোকাবিলা করার শক্তি পাওয়া যায়। বজরংবলি যেমন নিষ্ঠার সঙ্গে প্রভু রামের আরাধনা করতেন, অনেকটা সেই রকম মন দিয়েই বজরংবলিকেও ডাকতে হবে। তা হলে তিনি আপনার কাজে খুশি হবেন নিশ্চিত। জীবন থেকে আর্থিক সমস্যাও বিদায় নেবে। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার পুজো করার পাশাপাশি মানতে হবে আরও কিছু সহজ উপায়। আশীর্বাদ লাভ হবে নিশ্চিত।
আরও পড়ুন:
-
জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে লটারি কেটে পাঁচ রাশির ব্যক্তিরা বিপুল লাভ করতে পারেন! কারা লটারি কাটতে যাবেন না?
-
প্রচুর খাটনির পরও পর্যাপ্ত টাকা আসছে না? আর্থিক উন্নতি আনতে মেনে চলুন সহজ পাঁচ টোটকা, পাঠ করুন তিন মন্ত্র
-
মানি প্ল্যান্ট রাখলেই টাকার বৃষ্টি হবে না, সেটির যত্ন নিতে হবে সঠিক উপায়ে, রাখতে হবে নির্দিষ্ট একটি জায়গাতেই
বজরংবলিকে খুশি করার উপায়:
১. কথিত রয়েছে, বজরংবলির প্রিয় রং লাল। তাই প্রতি মঙ্গলবার বজরংবলিকে পুজো করার সময় লাল রঙের জামা পরে পুজো দিন। তিনি খুশি হবেন। এ ছাড়া, যে কোনও শুভ কাজে লাল রঙের জামা পরে যেতে পারেন। সৌভাগ্য আপনার সঙ্গ ছাড়বে না। এ ছাড়া, প্রতি মাসের যে কোনও মঙ্গলবার কোনও এক হনুমান মন্দিরে লাল পতাকা দিতে পারেন।
২. প্রতি মঙ্গলবার বজরংবলির আরাধনা করার সঙ্গে সঙ্গে হনুমান চালিশাও পাঠ করতে হবে। স্নানের পর শুদ্ধ বস্ত্রে এই মন্ত্র পাঠ করতে হবে। এটি পাঠ করার সময় অন্য কোনও দিকে মন দেওয়া যাবে না। এই কাজটি প্রতি দিন করতে পারলে খুব ভাল ফল লাভ হবে।
আরও পড়ুন:
৩. লাড্ডু হনুমানজির খুব প্রিয় খাবার বলে মনে করা হয়। তাই পুজোর প্রসাদ হিসাবে তাঁকে অবশ্যই লাড্ডু খেতে দিন।
৪. মঙ্গলবার হনুমানজির বার। তাই এই দিন মাছ-মাংস না খেয়ে সম্পূর্ণ নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে পারলে খুব ভাল হয়।
আরও পড়ুন:
৫. হনুমানজির পুজো করার সময় তার চরণে কমলা সিঁদুর অর্পণ করুন। যে কোনও শুভ কাজে যাওয়ার আগে মাথায় সেই সিঁদুরের তিলক কাটতে পারেন। অথবা, একটি কাগজে সেই সিঁদুর ও ফুল নিয়ে আপনার মানিব্যাগে রেখে দিতে পারেন। খুব ভাল ফল পাবেন।
৬. তুলসীর মালাও হনুমানজির খুব পছন্দের। সেটিও হনুমানজিকে অর্পণ করা যেতে পারে। তারই সঙ্গে জুঁই ফুলও দেওয়া যেতে পারে।