২২ জুন অম্বুবাচীর প্রবৃত্তি এবং ২৫ জুন অম্বুবাচীর নিবৃত্তি। অর্থাৎ, রবিবার শুরু হচ্ছে অম্বুবাচী তিথি এবং শেষ হবে বুধবার। এই সময়কালকে ধরিত্রীমাতার ঋতুমতী হওয়ার সময়কাল হিসাবে মনে করা হয়। এর অর্থ হল, এই সময় সমস্ত দেবী রজস্বলা থাকেন। কামাখ্যা মন্দিরে এই দিনগুলি অত্যন্ত আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করা হয়। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এই সময় কামাখ্যায় ভক্তেরা আসেন। এই সময় দেবীর পুজো বন্ধ রাখা হয়। এই সময়টিকে দেবীর বিশ্রামকাল হিসাবে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, অম্বুবাচীর সময় বিশেষ কিছু নিয়ম পালন করলে দেবীর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। আবার এমন কিছু কাজ আছে, যা এই সময় একেবারেই করতে নেই। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
আরও পড়ুন:
দেখে নেব কী কী করা যায় আর কী কী করা যায় না:
১) এই সময় বাড়িতে থাকা সকল দেবীমূর্তি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এ ছাড়া মন্ত্র উচ্চারণ করে, ফুল ও জলখাবার দিয়ে দেবীমূর্তির পুজো করা যাবে না। শুধুমাত্র ধূপ-দীপ দেখিয়ে প্রণাম করতে হবে।
২) অম্বুবাচী নিবৃত্তির দিন, অর্থাৎ শেষ দিনের পর ঠাকুরের পুরনো সাজ বদলে ফেলতে হবে। সিংহাসনে পাতা পুরনো কাপড়ও তুলে ফেলতে হবে। ঠাকুর ও সিংহাসনকে নতুন সাজে সজ্জিত করতে হবে।
৩) এই সময় খুব জরুরি দরকার না থাকলে বাড়ি থেকে দূরে কোথাও ভ্রমণ করতে নেই।
আরও পড়ুন:
৪) অম্বুবাচী তিথি শুরু হওয়ার আগে তুলসীগাছের গোড়ায় নতুন করে মাটি দিয়ে সেটিকে একটু উঁচু করে দিতে হবে।
৫) এই সময় কুমারী মেয়েদের উপহার দিন এবং তাঁদেরকে পছন্দমতো খাবার খাওয়ান।
৬) অম্বুবাচী তিথি চলাকালীন যে কোনও এক দিন স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে উপবাস রাখতে পারলে খুব ভাল হয়। এতে সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় হবে, নিজেদের মধ্যে ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে।
৭) অম্বুবাচী শেষ হওয়ার পর বাড়ির সদর দরজায় লাল সুতো বাঁধুন এবং কামাখ্যা মায়ের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করুন।
আরও পড়ুন:
৮) এই সময় মানুষকে গরিব নিজের সাধ্যমতো যে কোনও ফল দান করতে পারলে খুব উপকার পাওয়া যায়।
৯) এই তিন দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নিন। তার পর শুদ্ধ বস্ত্রে নিজের ইষ্টমন্ত্র জপ করুন।
১০) অম্বুবাচীর সময় বাড়িতে কোনও শুভ কাজ করা যাবে না।