সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী যখন একই সরলরেখার অবস্থান করে এবং পৃথিবীর ছায়া চন্দ্রের উপর পড়ে, তখন চন্দ্রগ্রহণ সম্পন্ন হয়। একই সরলরেখায় অবস্থান করলেও, এদের মধ্যে থাকা কৌণিক দূরত্বের উপর নির্ভর করে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হবে না খণ্ডগ্রাস। এই বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ হবে সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ। এই দিন পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হবে। ভারতের আকাশে এই গ্রহণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, পুরোটাই দেখা যাবে।
আরও পড়ুন:
হিন্দু ধর্মের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, গ্রহণের দিন বা সেই নির্দিষ্ট সময়কালে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। বিশেষ করে সেই গ্রহণ যখন আমরা দেখতে পাব, তখন তো সেই সকল নিয়ম মেনে চলতেই হবে। না হলে সেটির অশুভ প্রভাব আমাদের উপর পড়তে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়।
আরও পড়ুন:
শাস্ত্রমতে, গ্রহণ শুরুর ন’ঘণ্টা আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় সুতককাল। এই বছর চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রাত ৮টা ৫৭ মনিট থেকে। তার ন’ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ দুপুরবেলাই শুরু হয়ে যাবে সুতককাল। এই কাল চলবে গ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত। এই নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ কিছু কাজ করা চলবে না।
আরও পড়ুন:
কী কী কাজ করবেন না?
১. এই সময়কালে মন্দিরের দরজা সাধারণত বন্ধ রাখা হয়। সেটি যদি না-ও করা হয়, তা-ও মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না। এই সময় পুজোও না-ই করা উচিত। গ্রহণের পর ঠাকুরের আসনের শুদ্ধিকরণ করে পুজো করা উচিত।
২. সুতককালে রান্না করা থেকেও বিরত থাকতে পারলে খুব ভাল হয়। এই কাল শুরু হওয়ার আগে সমস্ত রান্না সেরে ফেলতে হবে। এই সময় সমস্ত খাবার ও পানীয়ে তুলসীপাতা দিয়ে রাখতে হবে। গ্রহণের পর সেই সকল পাতা তুলে ফেলে দিতে হবে।
৩. এই সময় শাকসব্জি, ফলমূল প্রভৃতি কাটা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়। এগুলি করাও উচিত নয় বলেই মনে করা হয়।