প্রতিটা সম্পর্কেই ঝগড়া-অশান্তি থাকে। সম্পর্ক কখনও একই রেখায় চলতে পারে না। তাতে চড়াই-উতরাই থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে আনন্দের মুহূর্তগুলো যতটা মনোরম হয়, ঝগড়ার সময়টি হয় ততটাই বিষাদগ্রস্ত। সে ক্ষেত্রে অনেক সময়ই মনের কোণে নানা প্রশ্ন উঁকি মারে। এরই মধ্যে একটি অতি সাধারণ প্রশ্ন হল যাঁর জন্য এত কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে, সেই মানুষটা আমাদের জন্য সঠিক তো? সম্পর্কের কঠিন সময়ে মনে এমন ভাবনা আসাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে আপনার মনে বর্তমানে যে মানুষটি রয়েছেন, তিনি আপনার জন্য সঠিক কি না তা বিচার করার নানা উপায়ের কথা শাস্ত্রে বলা রয়েছে। শাস্ত্রমতে, এ বিশ্বসংসারই আমাদেরকে সঠিক মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়। বিশ্বসংসার নানা সঙ্কেত দিয়ে আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করে যে এই মানুষই আমাদের জন্য সঠিক। এতে দৈবশক্তিরও নানা ভূমিকা থাকে।
আরও পড়ুন:
যাঁর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তিনিই আপনার ‘দ্য ওয়ান’ কি না কী ভাবে বুঝবেন?
১. নানা ভুল বোঝাবুঝির পরও আপনারা একসঙ্গে থেকে যান। নিজেদের মতো করে, নিজেদের সময়ে আপনারা সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি, ঝগড়া-অশান্তি কাটিয়ে উঠতে পারেন। একে অপরের ভুলটা বোঝেন এবং সেটি স্বীকার করে নিতেও দ্বিধাবোধ করেন না। দু’জনের দিক থেকেই সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখার সমান চেষ্টা দেখতে পাওয়া গেলে বুঝে নিতে হবে তিনিই আপনার এক জন।
২. সঙ্গীর উপস্থিতিতে আপনার মনে শান্তি অনুভূত হয়। তাঁর প্রতি কোনও ভীতি কাজ করে না। বরং তাঁর কাছে মন খুলে সমস্ত কথা বলতে পারেন। সঙ্গী পাশে থাকলে মনে জোর নিয়ে যে কোনও পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার সাহস পান।
আরও পড়ুন:
৩. আপনার মনে কী চলছে সেটা বলার আগেই সঙ্গী তা ধরে ফেলেন। একে অপরের সঙ্গে মনের গভীর মিল না থাকলে এমনটা হওয়া সম্ভব নয়। আপনার ভাল লাগা, খারাপ লাগার সম্মান করেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার সম্পূর্ণ চেষ্টাও করেন।
৪. আপনার ষষ্ঠেন্দ্রিয় আপনাকে বলে চলে যে এই মানুষটাই সেই মানুষটা যাঁর সঙ্গে আপনি বাকি জীবনটা কাটাতে চান। যদি কঠিন মুহূর্তেও এমনটাই মনে হয়, তা হলে বুঝবেন আপনার বর্তমান সঙ্গীই আপনার জীবনসঙ্গী। রাগের মুহূর্তেও তাঁর প্রতি আপনার ভালবাসা ও মনের টান কমবে না।
আরও পড়ুন:
৫. কোনও তৃতীয় ব্যক্তি সম্পর্কের ভাঙন ঘটাতে চাইলেও তিনি সফল হন না। সঠিক মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধন এতটাই মজবুত হয় যে তা সহজে ভেঙে ফেলা যায় না। এ ক্ষেত্রে স্বয়ং দৈবশক্তি সম্পর্কের রক্ষক হিসাবে কাজ করে বলে মনে করা হয়।