প্রায় এক বছরের অপেক্ষার পর মা আমাদের কাছে এসেছেন। সেই আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে আমরা সব দুঃখ ভুলে নিজেদের আনন্দের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছি। এই পাঁচটা দিন যেন চোখের নিমেষে কেটে যায়। দেখতে দেখতে চলে এল সপ্তমী। দুর্গাপুজোর এই পাঁচ দিন যে কোনও উপায় পালন করলেই দারুণ ফলপ্রাপ্তি ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়। জ্যোতিষী জানাচ্ছেন, অষ্টমী এবং নবমী তিথিতে বিশেষ কিছু টোটকা পালন করার মাধ্যমে নিজের ভাগ্যকে জয় করা যেতে পারে। এর ফলে নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন:
টোটকা:
১) অষ্টমী তিথিতে চেষ্টা করুন কুমারী পুজোয় কিছু না কিছু জিনিস দান করার। সেটি করা সম্ভব না হলে নবমীর দিন বাড়িতে নয় শিশুকন্যাকে ডেকে তাদের পছন্দমতো খাবার খাওয়ান এবং উপহার দিন।
২) অষ্টমী পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার সময় মাকে লাল বস্ত্র, লাল ফুল, হলুদ মিষ্টি, আলতা, সিঁদুর, পদ্ম এবং অপরাজিতা ফুল নিবেদন করতে পারলে খুব ভাল হয়।
৩) দুর্গাপুজোর সন্ধিক্ষণে বা সন্ধিপুজোর সময় মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে নিজের মনের ইচ্ছা বলুন। এতে সহজেই মনের ইচ্ছা পূরণ হয়।
আরও পড়ুন:
৪) অষ্টমীর দিন মায়ের সামনে কিছুটা গঙ্গাজল রেখে আসুন। তার পর নবমীর দিন সেই জল নিয়ে এসে বাড়ির সব জায়গায় ছিটিয়ে দিন। এর ফলে বাড়িতে বাস্তুদোষ থাকলে কেটে যাবে।
৫) জীবনে একের পর এক সমস্যা লেগেই থাকলে অষ্টমী বা নবমীর দিন মায়ের সামনে একটা মাটির প্রদীপে ঘি দিয়ে জ্বালুন এবং এরই সঙ্গে একটা লাল মোমবাতিও জ্বালান।
৬) একটা মাটির পাত্রে মায়ের হোমের ছাই নিয়ে বাড়ির শুদ্ধ স্থানে রেখে দিলেও বাস্তুদোষ কাটে এবং পারিবারিক সমস্যা থাকলে তা মিটে যায়।
আরও পড়ুন:
৭) নবমীর দিন দুর্গাস্তোত্র পাঠ করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়।
8) নবমীর দিন শরীরে ন’মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা খুব ভাল।
৯) দুর্গা মায়ের নৈবেদ্যতে অবশ্যই যেন নারকেল থাকে, এ ছাড়া হলুদ মিষ্টি এবং ফলও রাখতেই হবে।
১০) নবমীর দিন মায়ের সামনে কর্পূর জ্বালিয়ে আরতি করুন।