জীবনে প্রথম বার চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেলে সকলের মনেই একটা ভয় কাজ করে। কী প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে না করবে, চাকরিটা আদৌ পাওয়া যাবে কি না সেই সকল নানা চিন্তা আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে। কিন্তু প্রথম বারের পর অন্যান্য ভয় একটু কমলেও চাকরিটা হবে কি না সেই ভয়টা পরের ইন্টারভিউগুলোতেও রয়ে যায়। আমাদের আত্মবিশ্বাসের অভাবের ফলেও এ রকমটা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় খুব পরিশ্রমের পরও মনের মতো চাকরি পাওয়া যায় না। ইন্টারভিউ ভাল হলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে সেই চাকরি আমাদের ভাগ্যে জোটে না। এ ক্ষেত্রে জন্মছকে অশুভ গ্রহের অবস্থান দায়ী হতে পারে। গ্রহেরা যদি আমাদের বিরুদ্ধে থাকে তা হলে শত চেষ্টা করেও আমরা ভাল কিছু করতে পারব না। তখন আমাদের রক্ষা করতে পারে কেবল জ্যোতিষশাস্ত্র। তবে তার জন্য অনেক পয়সা খরচ করতে হবে এ রকমটা ভাবার দরকার নেই। সহজ কিছু টোটকা মানলেই হবে মুশকিল আসান। জেনে নিন সেই টোটকাগুলি কী কী।
আরও পড়ুন:
চাকরির ইন্টারভিউতে সফলতা লাভের টোটকা:
১. যে কোনও শুভ কাজে বেরোনোর আগে দই খাওয়া অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে এক চামচ হলেও মিষ্টি দই খেয়ে বেরোতে হবে। এ ক্ষেত্রে টক দই খেলে চলবে না, মিষ্টি দই-ই খেতে হবে। এর ফলে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।
২. শাস্ত্রমতে, যে কোনও শুভ কাজে বেরোনোর আগে যাত্রা সব সময় ডান পা দিয়ে শুরু করা উচিত। অর্থাৎ, বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় দরজার বাইরে সবার আগে ডান পা-ই ফেলতে হবে। চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময়ও এই উপায়টি মেনে চললে ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
৩. চাকরির ইন্টারভিউ বা পরীক্ষা দিতে যাওয়ার দিন সকালে স্নান সেরে গণেশের আরাধনা করুন। সেটি করার সময় গণপতিকে পাঁচটা লাড্ডু ও পাঁচটি এলাচ দিন। পুজো শেষে পাঁচটি এলাচের মধ্যে দুটো এলাচ তুলে নিজের কাছে রাখুন। একটি এলাচ মানিব্যাগে ঢোকান আর অপর এলাচটি বেরোনোর আগে মুখে দিন। কত ভাল ফল পাওয়া যায় নিজেই বুঝতে পারবেন।
৪. শখের চাকরি পাওয়ার জন্য প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করুন। মা লক্ষ্মীর মন্ত্র জপ করলেও খুব সহজেই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছোনো যায়।
৫. জ্যোতিষশাস্ত্রে হলুদকে শুভ রং হিসাবে গণ্য করা হয়। তাই যে কোনও চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় হলুদ রঙের পোশাক পরে যেতে পারেন।