বিশ্বকর্মা যে দেবশিল্পী সেটা আমরা প্রায় সকলেই জানি। কিন্তু তিনিই যে প্রথম বাস্তুশাস্ত্র তৈরি করেছিলেন সেটা অনেকেরই জানা নেই। সেই কারণে বিশ্বকর্মাকে বাস্তুর আদিপুরুষও বলা হয়। এই দিনে বিশেষ কিছু টোটকা পালনের মাধ্যমে বাস্তুদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। আবার এই দিনে বিশ্বকর্মার পুজো করলে ব্যবসা-বাণিজ্যেও উন্নতি করা যেতে পারে। পুরাণমতে, বিশ্বকর্মাই হল দেব-দেবীর প্রাসাদ এবং অলঙ্কার নির্মাতা। তাই তাকে বিশ্বকর্মা বলা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, বিশেষ কিছু টোটকা রয়েছে যা এই দিন পালন করতে পারলে নানা দিক থেকে উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
টোটকা:
১) একটা হলুদ কাপড়ের উপর বিশ্বকর্মা ঠাকুরের মূর্তি স্থাপন করুন। তাঁর সামনে একটা জলপূর্ণ ঘটিতে কিছুটা অখণ্ড আতপ চাল, একটা সুপারি, সাদা চন্দন, ফুল এবং কিছুটা সাদা সর্ষে দিয়ে অর্পণ করুন। এর পর প্রভুর কাছে মনোবাসনা জানান।
২) এই দিন সকাল সকাল স্নান সেরে নিন। তার পর বাড়ির যত প্রকার যানবাহন রয়েছে সেগুলো ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। এ ছাড়া বাড়িতে কলকারখানা থাকলে সেখানকার সকল যন্ত্রপাতিও সব ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। এর পর সেগুলিকে পুজো করতে হবে।
আরও পড়ুন:
৩) এই দিন পুজোর সময় দেবশিল্পীর হাতে অবশ্যই একটা ঘুড়ি দিন। তার পর ব্যবসার স্থানে সেই ঘুড়িটা রেখে দিন। এর ফলে ব্যবসায় যদি মন্দা থাকে সেটি কেটে যাবে এবং ব্যবসায় দ্বিগুণ উন্নতি হবে।
৪) বাস্তুদোষ কাটাতে এই দিন পুজোর সময় কিছুটা আতপ চাল এবং ফুল নিয়ে বিশ্বকর্মার উৎসর্গীকৃত মন্ত্র জপ করে, বাড়ির চারপাশে সেই ফুল এবং চালটা ছড়িয়ে দিন। দারুণ ফল পাবেন।
আরও পড়ুন:
৫) এই দিন পুজোর সময় বিশ্বকর্মার মূর্তির আসনের নীচে দুটো বড় পেরেক রাখুন। তার পর পুজো শেষে সেই পেরেক দুটো একটা লাল কাপড়ে মুড়িয়ে ব্যবসার স্থানে ঝুলিয়ে দিন।
৬) বিশ্বকর্মা পুজোর নৈবেদ্যতে বাতাবি লেবু রাখা আবশ্যিক।
৭) সঠিক নিয়ম মেনে বাড়িতে বিশ্বকর্মা পুজো করলে বাস্তুদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।