নেগেটিভ ভাবনা সকলের মাথাতেই আসে। সর্বদা পজ়িটিভ চিন্তা করেন, এমন ব্যক্তি খুব কমই রয়েছেন। তবে এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা সর্ব ক্ষণ খারাপ চিন্তাই করে চলেন। এঁরা নিজের সঙ্গে হওয়া খারাপগুলিকেই এতটা বড় করে দেখেন যে ভাল যা হয় তা এঁদের চোখ এড়িয়ে যায়। যদিও এতে ক্ষতি নিজেরই হয়। শাস্ত্র জানাচ্ছে সর্বদা খারাপ চিন্তা করে চলা ভাল নয়। যাঁরা এমনটা করেন, তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ভাগ্যের অগ্রগতি আটকে রাখেন। কী কী হতে পারে জেনে নিন।
আরও পড়ুন:
নেগেটিভ চিন্তার ফলে কী হয়?
১. নিজেকে নিয়ে সর্বদা নেগেটিভ চিন্তা করে গেলে সূর্যের শুভ ফলদানের ক্ষমতা হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে যে কোনও কাজে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। বহু চেষ্টা করেও কোনও কাজে সফল হওয়া যায় না। এর জন্য নেগেটিভ চিন্তা সম্পূর্ণ রূপে ত্যাগ করতে হবে। এরই সঙ্গে প্রতি দিন কিছুটা সময় সূর্যের আলোয় কাটাতে হবে।
২. অনেক সময় সব কিছু ঠিকঠাক চললেও অনেকেই সেটা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন। মনে করেন সামনেই হয়তো কিছু খারাপ হবে, তাই এই সময়টা এত ভাল কাটছে। এমনটা ভাবাও উচিত নয়। এতে খারাপটাই হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। চন্দ্রের ফলে এমনটা হয়। এ সকল ভাবনা চন্দ্রের ফলদানের ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে। এর ফলে আমাদের সঙ্গে খারাপ ঘটনা ঘটে। প্রায় হয়ে আসা কাজ বিগড়ে যায়।
আরও পড়ুন:
৩. কোনও কিছু নিয়ে পরিকল্পনা করার সময়ও নেগেটিভ চিন্তাভাবনা এড়িয়ে চলা উচিত। এতে বুধ দোষযুক্ত হয়ে পড়ে। পরিকল্পনার উপর কাজ করার সময় খারাপটাই হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
৪. কারও সম্বন্ধে খারাপ কথা বললেও বা কাউকে নিয়ে সমালোচনা করলেও নিজেরই ক্ষতি হয় বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র। বৃহস্পতির কার্যক্ষমতা হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে কাছের মানুষেরা ক্রমশ আমাদের থেকে দূরে সরে যান। একাকিত্ব আমাদের গ্রাস করতে থাকে।
আরও পড়ুন:
৫. অনেক ব্যক্তিই অন্যের উপর ক্ষোভ থেকে তাঁর নামে অপবাদ রটিয়ে বেড়ান। এই কাজ করলে জন্মছকে শুক্রের স্থান দুর্বল হয়। এর প্রভাব আমাদের অর্থভাগ্যের উপর পড়ে। দারুণ অর্থক্ষতি হয়ে যায়। এরই সঙ্গে সমাজে আমাদের মানসম্মানও ক্ষুণ্ণ হয়।