তুলসী একটি অত্যন্ত পবিত্র গাছ। হিন্দু ধর্মে এই গাছের মাহাত্ম্য বিশেষ। কথিত আছে, যে বাড়িতে তুলসীগাছ থাকে, সেই বাড়িতে সর্বদা নারায়ণের কৃপা বজায় থাকে। তুলসীপাতা ছাড়া শ্রীবিষ্ণুর পুজো সম্পূর্ণ হয় না। তবে তুলসীগাছ বাড়িতে রাখা যেমন মঙ্গলের, তেমনই ভুল উপায়ে তুলসীগাছ রাখলে হয়ে যেতে পারে মারাত্মক ক্ষতি। তুলসীগাছ রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলা আবশ্যিক। সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি ধরে রাখতে চাইলেও তুলসীগাছ রাখায় যেন কোনও অনিয়ম না হয় সেই বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। হিন্দু বাড়িতে সকাল-সন্ধ্যা তুলসীগাছের পুজো করা হয়। তবে সেই পুজোরও বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি মেনে পুজো করলেই ফলপ্রাপ্তি ঘটবে, না হলে নয়।
আরও পড়ুন:
বাড়িতে তুলসীগাছ রাখার নিয়ম:
- তুলসীগাছের আশপাশে কোনও আবর্জনা জমিয়ে রাখা যাবে না। কোনও অপ্রয়োজনীয় জিনিস সেই গাছের পাশে রাখা যাবে না।
- শুকনো বা মৃতপ্রায় তুলসীগাছ বাড়িতে রাখা যাবে না। সেই গাছকে যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। তবে সেটিকে যত্রতত্র ফেলে দিলেও হবে না। মরে যাওয়া তুলসীগাছকে হয় মাটির তলায় পুঁতে দিতে হবে, না হলে জলে ভাসিয়ে দিতে হবে।
- প্রদীপ বা ধূপকাঠি জ্বালার সময় সেই তাপ যেন তুলসীগাছের গায়ে বা পাতায় না লাগে, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন:
- অপরিষ্কার হাত দিয়ে তুলসীগাছের পাতা কখনও ছোঁয়া যাবে না। এতে অকল্যাণ হবে।
- সন্ধ্যার পর আর তুলসীপাতা তুলতে নেই। যদি রাতে প্রয়োজন হয়, তা হলে সকালেই তুলে রাখতে হবে।
- একাদশী, দ্বাদশী এবং পূর্ণিমা তিথিতে কোনও মতেই তুলসীগাছের পাতা ছিঁড়তে নেই।
আরও পড়ুন:
তুলসীগাছ পুজোর নিয়মকানুন:
প্রতি দিন সকাল ও সন্ধ্যাবেলা তুলসীগাছে জল দিতে হবে। এরই সঙ্গে কিছু ফুল অর্পণ করতে পারলেও ভাল হয়। জল ঢালার সময় তুলসীমন্ত্র জপ করতে হবে। তার পর হাতজোড় করে মনোস্কামনা জানাতে হবে। সকাল ও সন্ধ্যাবেলা জল ঢালার পর ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালাতে পারলে খুব ভাল হয়।