অগ্রহায়ণ মাস পড়তে না পড়তেই বাঙালি হিন্দুদের বিয়ের হিড়িক শুরু হয়ে যায়। কেউ এই মাসেই বিয়ে করেন, কেউ আবার মাঘ-ফাল্গুনে বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। কেবল নিজের জন্য উপযুক্ত পাত্র বা পাত্রী খুঁজে নিলেই বিয়ে হয়ে যায় না, তার আগে থাকে নানাবিধ কাজ। বাঙালি হিন্দুর বিয়ের নিয়ম প্রচুর। সেই প্রস্তুতি আগে থেকেই নেওয়া শুরু করতে হয়। এরই মধ্যে একটি হল বিয়ের কার্ড ছাপানো। বর্তমানে বাজারে নানা নকশা করা কার্ড পাওয়া যায়। আগেকার দিনের সাদামাঠা কলাপাতার আকৃতির কার্ড বা লাল রঙের কার্ডের জায়গায় এখন চলে এসেছে নানা আধুনিক নিমন্ত্রণপত্র। সকলের ঝোঁক সে দিকেই বেশি। তবে শাস্ত্র জানাচ্ছে, বিবাহিত জীবন সুখী করার জন্য কেমন ধরনের কার্ড বেছে নিচ্ছেন সে ব্যাপারেও নজর দেওয়া জরুরি। তাই বিয়ের মরসুমে জেনে নিন বিয়ের কার্ড বানানোর সময় কোন জিনিসগুলি মাথায় রাখবেন।
আরও পড়ুন:
-
শুধু পূর্ণিমা-অমাবস্যা নয়, সপ্তাহের নির্দিষ্ট তিন দিনেও তুলসীপাতা ছেঁড়া মানা! অন্যথায় ঘটতে পারে ঘোর অমঙ্গল
-
বিছানায় কেউ হিংস্র, কেউ আগ্রাসী, কেউ রাজা তো কেউ ‘ফকির’! সঙ্গীদের যৌনতৃপ্তি দেওয়ায় জুড়ি মেলা ভার এই ছ’রাশির
-
মাস শেষের শূন্য পকেট ভরাতে পারে লটারি! নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে কাদের ভাগ্যে প্রাপ্তিযোগ রয়েছে? কাদের নেই?
বিয়ের কার্ড বানানোর সময় কোন ব্যাপারগুলি মাথায় রাখতে হবে?
- আজকাল অনেকেই বর ও কনের ছবি কার্ডে লাগান। তবে শাস্ত্র জানাচ্ছে এই কাজ করা মোটেও উচিত নয়। এতে তাঁদের উপর অশুভ দৃষ্টি পড়তে পারে। তাই বিয়ের কার্ডে পাত্র-পাত্রীর ছবি না লাগানোই ভাল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
- কোন রঙের বিয়ের কার্ড বানাচ্ছেন সেটির উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। শাস্ত্রমতে, লাল, হলুদ বা সাদা রঙের বিয়ের কার্ড বানানো শুভ হবে। নীল, সবুজ, কালো প্রভৃতি গাঢ় রং এ ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলা উচিত।
- বিয়ের কার্ডে গণেশমন্ত্র বা বিষ্ণুমন্ত্র লিখতে বা ছাপাতে পারলে খুব ভাল হয়। এতে বিবাহিত জীবন অত্যন্ত সুখে কাটে।
আরও পড়ুন:
- যে কোনও শুভ কাজের আগে যেমন গণেশের পুজো করার চল রয়েছে, তেমনই বিয়ের কার্ড বিতরণ শুরু করার পূর্বেও গণেশের পুজো করতে হবে। তার পর কার্ড সবার প্রথমে ইষ্টদেবতার কাছে বা কোনও মন্দিরে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে। তার পর আত্মীয়স্বজনের মধ্যে সেটি বিতরণ করা যেতে পারে।
- বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসার পর সেগুলি যত্রতত্র ফেলে রাখা যাবে না। বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে সেটি রাখার জায়গা করতে হবে। তা হলে দাম্পত্যজীবন আনন্দের সঙ্গে কাটবে।