হিন্দু ধর্মে পুজোআচ্চা করার রীতি বহু যুগ ধরে চলে আসছে। মনোস্কামনা পূরণের জন্যই হোক বা দেবতার প্রতি ভক্তি দেখাতে, আমরা ঈশ্বরের আরাধনা করে থাকি। ফুল, নৈবেদ্য সহযোগে পুজো করার চল রয়েছে। চল রয়েছে তাঁর আরতি করারও। পুজো শেষে ধূপকাঠি ও প্রদীপ জ্বেলে ভগবানের সামনে না ঘোরালে পুজো যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে শাস্ত্র বলছে আরতি করার বিশেষ নিয়ম রয়েছে। সঠিক উপায় পালন করে আরতি না করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
আরও পড়ুন:
আরতি করার সঠিক নিয়ম কী?
১. আরতি সর্বদা ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরিয়ে করতে হয়। অর্থাৎ, ঘড়ির কাঁটা যে দিক বরাবর ঘোরে, সে দিক মেনে আরতির থালা ঠাকুরের সামনে ঘোরাতে হবে।
২. আরতি করার সময় থালা ব্যবহার করতে পারলে ভাল হয়। একটি থালার মধ্যে ঘি বা সর্ষের তেল দিয়ে জ্বালানো প্রদীপ, ধূপকাঠি ও ফুল রেখে দেবতার আরতি করা উচিত। হাতে শুধু প্রদীপ বা ধূপকাঠি নিয়ে যেমন-তেমন ভাবে আরতি করলে চলবে না। তবে পঞ্চমুখী প্রদীপের ক্ষেত্রে থালা ব্যবহারের দরকার নেই।
আরও পড়ুন:
৩. সবার প্রথমে দেবতার পায়ের সামনে আরতি করতে হবে। চার বার বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে হবে। এর বেশি বা কম করা যাবে না।
৪. এর পর আরতির থালাটি দেবতার দেহের দিকে নির্দেশ করে চার বার ঘোরাতে হবে।
আরও পড়ুন:
৫. পা ও দেহের পর দেবতার মুখের দিকে নির্দেশ করে চার বার বৃত্তাকারে আরতির থালাটিকে ঘোরান।
৬. সব শেষে ঈশ্বরের সম্পূর্ণ বিগ্রহ বা ছবিটির উদ্দেশে আরতির থালাটি সাত বার ঘোরান। তার পর থালাটি নামিয়ে রেখে করজোড়ে প্রণাম করুন এবং দেবতার কাছে মনোবাঞ্ছা জানান।