দেবী দুর্গা এবং দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র হলেন দেবসেনাপতি কার্তিক। দেবসেনাপতি কার্তিক পৌরাণিক দেবতা। হিন্দু বিশ্বাস মতে, দেবসেনাপতি কার্তিকের আরাধনায় পুত্রসন্তান লাভ হয়। কার্তিকের আরাধনায় শুধু যে পুত্রলাভ হয় তা কিন্তু না, কার্তিকপুজোয় যেমন সন্তানলাভ হয়, তেমন ধন এবং সংসারের শ্রীবৃদ্ধিও হয়। সংসারের সদস্য বৃদ্ধির সঙ্গে ধনসম্পত্তিও বৃদ্ধি হয়। সংসারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সফলতা প্রাপ্ত হয়। আয়ের ক্ষেত্রেও উন্নতি দেখা যায়। কার্তিকের সঙ্গে বীরত্বের সম্পর্ক থাকার কারণে দেবসেনাপতির আরাধনায় যশ ও বল প্রাপ্তি ঘটে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কার্তিকের পুজো-আরাধনায় মঙ্গল গ্রহের সুফল দানের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন:
কার্তিকপুজো সূর্যের গতির উপর নির্ভরশীল। সূর্য যখন রাশি পরিবর্তন করে তুলা থেকে বৃশ্চিক রাশিতে যায়, সেই দিন, অর্থাৎ কার্তিক মাসের শেষ দিন কার্তিকপুজো করা হয়।
আগামী ১৬ নভেম্বর, ভারতীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে সূর্য রাশি পরিবর্তন করে তুলা রাশি থেকে বৃশ্চিক রাশিতে গমন করবে।
আরও পড়ুন:
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে–
বাংলা– ৩০ কার্তিক, রবিবার।
ইংরেজি– ১৬ নভেম্বর, রবিবার।
শ্রীশ্রী কার্তিকপুজো।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে–
বাংলা– ২৯ কার্তিক, রবিবার।
ইংরেজি– ১৬ নভেম্বর, রবিবার।
শ্রীশ্রী কার্তিকপুজো।