আমাদের কোষ্ঠীতে থাকা নবগ্রহের ভাল-মন্দের উপরে নির্ভর করে আমাদের সাংসারিক, শারীরিক, মানসিক এবং অর্থনৈতিক জীবন। জ্যোতিষশাস্ত্রে নবগ্রহের শুভ প্রভাব পাওয়ার জন্য নানা ধরনের প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে। এই প্রতিকারের মধ্যে অন্যতম হল গাছের শিকড় বা গাছের মুল ধারণ করা। এই শিকড় মহিলাদের বাঁ হাতে এবং পুরুষদের ডান হাতে ধারণ করার নিদান দেওয়া হয়। ভিন্ন মূল ভিন্ন রঙের সুতো দিয়ে হাতে বাঁধতে হয়।
আরও পড়ুন:
জেনে নেব কোন গাছের শিকড়ে কোন গ্রহের প্রতিকার:
রবি গ্রহ– কোষ্ঠীতে রবি গ্রহ খারাপ থাকলে জাতকের জীবনে নানা দিক থেকে বাধা আসে। কাজ ঠিকমতো হয় না এবং উন্নতিও হয় না। সে ক্ষেত্রে বিল্বমূল, অর্থাৎ বেলগাছের শিকড় গোলাপি সুতোয় বেঁধে পরতে হবে।
চন্দ্র গ্রহ– চন্দ্র গ্রহের খারাপ প্রভাব দূর করতে ক্ষিরিকা মূল সাদা সুতোয় বেঁধে পরুন।
মঙ্গল গ্রহ– মঙ্গল গ্রহের খারাপ প্রভাব দূর করতে অনন্ত মূল বা খয়ের গাছের মূল লাল সুতোয় বেঁধে পরুন।
আরও পড়ুন:
বুধ গ্রহ– বৃহদ্বারক মূল সবুজ সুতোয় বেঁধে পরতে পারলে বুধ গ্রহের খারাপ প্রভাব কমানো যেতে পারে।
বৃহস্পতি গ্রহ– বৃহস্পতি গ্রহের জন্য কলাগাছের শিকড় বা জ্যৈষ্ঠআঁটির মূল হলুদ সুতোয় বেঁধে পরুন।
শুক্র গ্রহ– শুক্র গ্রহকে শক্তিশালী করতে রামবাসকের মূল সাদা সুতোয় বেঁধে পরুন।
শনি গ্রহ– শনি গ্রহকে মজবুত করতে শ্বেতবেড়লা বা লজ্জাবতী গাছের শিকড় নীল সুতোয় বেঁধে পরুন।
আরও পড়ুন:
রাহু– রাহুর অশুভ প্রভাব দূর করতে শ্বেতচন্দনের মূল নীল সুতোয় বেঁধে পরুন।
কেতু– কেতুর অশুভ প্রভাব দূর করতে অশ্বগন্ধার মূল নীল সুতো দিয়ে বেঁধে পরুন।
মূল ধারণের নিয়ম:
গাছের মূল যে দিন ধারণ করা হয় সেই দিন অবশ্যই বাড়িতে গ্রহ শান্তির পুজোপাঠ করে নিতে হয়। এ ছাড়া যে গ্রহের অশুভ প্রভাব দূর করতে বা যে গ্রহকে শক্তিশালী করার জন্য মূল ধারণ করছেন, ১৬ বার সেই গ্রহের বীজমন্ত্র জপ করতে হবে। এই দিন দুঃস্থ ব্যক্তিকে সাধ্যমতো কিছু দান করতে পারেন।