২০২৬ দরজায় কড়া নাড়ছে। প্রায় সকল মানুষের মনেই নতুন বছর ঘিরে উৎসাহের অন্ত নেই। পুরনো বছরে না পাওয়া সব কিছু পাওয়ার আশা নিয়ে আমরা নতুন বছরে পা দিই। মনে আস্থা থাকে যে এই বছর স্বপ্নগুলো সত্যি করব, উদ্দীপনাও থাকে প্রবল। কিন্তু স্বপ্ন সত্যি করব ভাবলেই যে তা সত্যি হয়ে যায় তেমনটা না। এর জন্য প্রয়োজন পরিশ্রম ও নিষ্ঠা। যদিও জীবনের উপর কুপ্রভাব থাকলে পরিশ্রমও জলে যায়। আমাদের যে কোনও শখ পূরণের জন্য বাস্তুর পরিবেশ শুদ্ধ রাখা আবশ্যিক। তবে সেটি করা সহজ বিষয় নয়। বাস্তুতে শুভ শক্তির সঞ্চার ঘটাতে অশুভ শক্তিতে আটকাতেই হবে। তাই ২০২৬-এর প্রথম দিন থেকে মানুন সহজ কিছু উপায়। বাড়িতে অশুভ শক্তি চেয়েও আর প্রবেশ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন:
অশুভ শক্তি আটকানোর উপায়:
১. ঘরে আলো-বাতাসের প্রবেশ: যে কোনও বাড়িতে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস খেলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই কারণে বাস্তুবিদেরা সর্বদা বাড়ির জানলা-দরজা সারা দিনে এক ঘণ্টার জন্য হলেও খোলা রাখতে বলেন। বদ্ধ ঘরে শুভ শক্তির সঞ্চার ঘটে না। তাই ঘরের ভিতর যেন রোদ ও হাওয়া প্রবেশ করতে পারে সেই দিকে নজর দিন। বছরের প্রথম দিন থেকেই ঘরে আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন।
২. নুনজল দিয়ে ঘর মোছা: বাস্তুর নেগেটিভ শক্তি দূর করতে নুন অত্যন্ত কার্যকরী। নতুন বছরে তাই প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত দু’দিন করে নুনজল দিয়ে ঘর মুছুন। এর ফলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব কিছুটা হলেও কমবে। তবে মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও রবিবার নুনজল দিয়ে ঘর মোছা যাবে না। বাকি চার দিনের মধ্যে যে কোনও দুই দিন এই কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া শৌচাগারের এক কোণে একটি পাত্রে কিছুটা নুন নিয়ে রেখে দিন। এই নুন যেন না ভিজে যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতি সপ্তাহে নুন বদলাতে পারলে খুব ভাল ফল পাবেন।
আরও পড়ুন:
৩. ঘর পরিষ্কার ও গুছিয়ে রাখুন: অপরিষ্কার, অগোছালো ঘরবাড়ি অশুভ শক্তির বাস। তাই ঘরবাড়ি সর্বদা গুছিয়ে রাখুন। জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখবেন না। প্রতি দিন ঘর ঝাড় দিন ও মুছুন। তবে সন্ধ্যার পর ঘর পরিষ্কারের কাজ করা নিষেধ।
৪. রুম ফ্রেশনারের ব্যবহার: সুন্দর গন্ধ শুভ শক্তির আগমন ঘটায় বলে মনে করা হয়। তাই ঘরে রুম ফ্রেশনার ছড়ান। সুন্দর গন্ধযুক্ত ধূপকাঠি বা অন্যান্য সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহারেও ভাল ফল পেতে পারেন।