আমাদের প্রত্যেকটি দিন একই রকম কাটে না। কোনও দিন খুব ভাল যায়, কখনও আবার পর পর কেবল খারাপ দিনই আসতে থাকে। সেই সময় কোনও কাজই ঠিকমতো করে ওঠা যায় না। যা-ই করতে যান না কেন, তাতেই বাধার সম্মুখীন হতে হয়। নানা দিক থেকে সমস্যা আমাদের ঘিরে ধরে। তবে এই দিনগুলো কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের জীবনে চলে আসে না। শাস্ত্র জানাচ্ছে, কোনও বিপদ ঘটার আগে প্রকৃতি আমাদের তা জানান দেয়। নানা অশনি সঙ্কেত আমাদের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়। কিন্তু আমরা তা বুঝতে পারি না।
আরও পড়ুন:
কোন জিনিসগুলি ঘটলে বুঝবেন বিপদ আসন্ন?
- বাইরে বেরোনোর সময় বার বার হাত থেকে কোনও জিনিস পড়ে গেলে বা কিছু নিতে ভুলে গেলে বুঝতে হবে কোনও খারাপ কিছু হতে চলেছে। এ ক্ষেত্রে কিছু ক্ষণ বাদে বেরোনোই ভাল হবে। শাস্ত্রমতে মনে করা হয়, এই সঙ্কেত অমান্য করে বেরিয়ে গেলে দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হতে পারে। এ রূপ কোনও ঘটনার থেকে আমাদের রক্ষা করার জন্যই প্রকৃতি আমাদের বার বার আটকে দেয়।
আরও পড়ুন:
- কাউকে কোনও গোপন কথা বলার সময় যদি মন সায় না দেয় বা কথার মাঝে বার বার যদি অন্য কথা ঢুকে যায়, তা হলে আর নিজের কথাটি না বলাই ভাল হবে। এটাও একটা সঙ্কেত। হতে পারে আপনি বিশ্বাস করে কথাগুলি যাঁকে বলছেন, তিনি আদতে আপনার বিশ্বাসের দাম দেবেন না। তাই কথাটা বলার সময় বার বার আপনি বাধা পাচ্ছেন।
- ঘরে থাকা অন্দরসজ্জার গাছগুলি যদি হঠাৎই কোনও কারণ ছাড়া মরে যায়, অ্যাকোরিয়ামের মাছ মরে যায় বা বাড়ির পোষ্য অসুস্থ হয়ে পড়ে, তা হলেও সতর্ক হওয়া বাঞ্ছনীয়। এর অর্থ হতে পারে আপনার বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে এমনটা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি সন্ধ্যাবেলা কর্পূর পোড়াতে পারেন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
- পরে থাকা নুপূর, চুড়ি প্রভৃতি যদি কোনও কারণ ছাড়াই ছিঁড়ে বা ভেঙে যায়, তা হলে বুঝবেন যে কেউ আপনার উপর নজর দিয়েছেন। সেই কারণে এমনটা হতে পারে বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র। এ ক্ষেত্রে আগামী সাত দিন হনুমান চালিশা পাঠ করতে হবে। শুকনো লঙ্কা পুড়িয়ে মাথার চারিপাশে ঘুরিয়ে ফেলে দিতে হবে। নজরদোষ কেটে যাবে।