আমাদের আশপাশে এমন বহু মানুষ রয়েছেন যাঁরা কখনও কারও কাছে সাহায্য চান না। এঁদের বুক কষ্টে ফেটে গেলেও, মুখে রা কাটেন না। এঁদের মধ্যে কেউ অর্ন্তমুখী প্রকৃতির, কেউ আবার অন্যের সামনে ছোট হবেন সেই ভাবনায় সাহায্য চাইতে দ্বিধা বোধ করেন। শাস্ত্র বলছে, রাশিচক্রের তিন রাশি রয়েছে যাঁরা কখনও কারও সামনে মাথা নত করেন না। পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক, এঁরা নিজেরাই সেটির মোকাবিলা করতে পছন্দ করেন। অন্যের কাছে সাহায্যের হাত পাতা এঁদের রাশিগত প্রকৃতিতে নেই। সেই কারণে বহু মানুষ এঁদের অহঙ্কারীর তকমা দিয়ে থাকেন। কিন্তু তাতেও এঁদের কিছু যায়-আসে না। এঁরা সর্বদা নিজের সমস্যা নিজেই মেটাতেই পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন:
কোন তিন রাশির ব্যক্তিরা কখনও কারও কাছে সাহায্য চান না?
সিংহ: সূর্যের রাশি সিংহ নিজের তেজেই জ্বলতে পছন্দ করেন। জীবন এঁদের যতই ফ্যাসাদে ফেলুক না কেন, এঁরা তা সত্ত্বেও মুখ ফুটে সাহায্যের দাবি রাখেন না। সিংহের কারক গ্রহ রবি এঁদের মাথা নত করতে শেখাইনি। এই রাশির লোকেরা মনে করেন কোনও দরকারে কারও কাছে সাহায্য চাইলে এঁরা উক্ত মানুষের সামনে ছোট হয়ে যাবেন। সেই কারণে এঁরা কখনওই, অত্যন্ত প্রয়োজনেও কারও কাছে সাহায্যের হাত পাতেন না।
আরও পড়ুন:
মকর: মকর রাশির জাতক-জাতিকারাও সাহায্য চাইতে পছন্দ করেন না। শনি দ্বারা পরিচালিত এই রাশি নিজের পথ নিজে তৈরি করতে পছন্দ করেন। সমস্যায় পড়ে লোকের সামনে কান্নাকাটি করা এঁদের দ্বারা হয় না। বরং নিজেকে কী ভাবে সেই জাল থেকে মুক্ত করা যায় সেটির পর্যালোচনা করতে বসেন এঁরা। নিজের মাথাতেই নানা সমাধান খুঁজতে থাকেন। কেউ সাহায্য করতে চাইলেও তাঁকে ফিরিয়ে দেন মকর রাশির ব্যক্তিরা। উক্ত মানুষ যদি এঁদের হেয় করেন বা এঁদের নিয়ে বিচারসভা বসান, সেই ভাবনায় এঁরা সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত থাকেন।
আরও পড়ুন:
কুম্ভ: একাকিত্বেই নিজেদের সুখের দুনিয়া খুঁজে পান কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা। এঁরা একা থাকতে এতটাই পছন্দ করেন যে, কোনও জটিল সমস্যায় পড়লেও কারও কাছে সমস্যার জন্য ছুটে যান না। নিজেরাই নানা উপায় প্রয়োগ করে সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কোনও মানুষের সঙ্গে দুঃখের কথা বলতে এঁরা মোটেও পছন্দ করেন না। কুম্ভেরা সকল সমস্যাকে নিজের মনে চেপে নিয়ে হাসিমুখে জীবন কাটাতেই বেশি পছন্দ করেন। দুঃখবিলাস এঁদের দ্বারা হয় না। সাহায্য চাওয়াকে এঁরা দুর্বলতা বলে মনে করেন।