বিবাহিত জীবন সকলের সুখের হয় না। তাই বিয়ের আগে সব মা-বাবাই তাঁদের ছেলেমেয়ের জন্য অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে পাত্র-পাত্রী দেখেন। বিশেষ করে মেয়েদের বাবা-মা। সমস্ত খুঁটিনাটি দেখে নিয়ে তার পর বিয়ে দেন। কিন্তু এত কিছুর পরও দাম্পত্য জীবনে নানা কারণে সমস্যা দেখা দেয়। বৈবাহিক জীবনের নানা সমস্যার মধ্যে একটি হল বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়া। শাস্ত্রমতে, পাঁচ রাশির জাতক-জাতিকারা অন্যদের তুলনায় বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে বেশি জড়িয়ে থাকেন। তার মানে এই নয় যে অন্য রাশির ব্যক্তিরা জড়ান না। আবার, এই পাঁচ রাশির সমস্ত মানুষেরাই যে পরকীয়া-প্রেমী তেমনটাও নয়। তবে রাশিচক্রের অন্য রাশিগুলির তুলনায় এই পাঁচ রাশিই পরকীয়ার ব্যাপারে এগিয়ে।
কোন পাঁচ রাশি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন?
মিথুন: মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা আবেগপ্রবণ হন। একটি সম্পর্ক থেকে তাঁরা অনেক কিছু চান। তাঁদের সেই সকল চাহিদা পূরণ না হলে তাঁরা অনায়াসেই আপনাকে ভুলে গিয়ে অন্য মানুষের কাছে চলে যেতে পারেন। মিথুন রাশির ব্যক্তিরা সেই ব্যাপারে আপনাকে জানানোর প্রয়োজনও বোধ না-ই করতে পারেন। এই বিষয়ে তাঁরা কোনও প্রকার কুণ্ঠাবোধও করেন না। এই রাশির ব্যক্তিদের কাছে তাঁদের চাহিদাটাই সবার উপরে।
কর্কট: কর্কট রাশির ব্যক্তিরা আত্মকেন্দ্রিক ও আবেগপ্রবণ। নিজের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে তাঁরা জানেন না। জীবনে প্রায় সব কিছুর বিচারই তাঁরা আবেগ দিয়ে করতে যান। এই রাশি জাতক-জাতিকারা কোনও কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে নারাজ, সর্বদা সব কিছু নিজেদের পছন্দ মতোই চান। একটি সম্পর্কেও তাঁরা সর্বদা নিজেদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে চান, সঙ্গীর কথা কানে তোলার প্রয়োজন মনে করেন না। এমনকি পরিস্থিতি যখন একটু কঠিন হয় বা তাঁরা যখন মনের মতো করে পাত্তা পান না, তখন অন্য কারও সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়তে এঁরা দ্বিধা বোধ করেন না।
আরও পড়ুন:
কন্যা: কন্যা রাশির ব্যক্তিরা সাধারণত সত্যি কথা বলতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে এই একটা ব্যাপার তাঁরা না জানিয়ে, লুকিয়ে করতেই বেশি মজা পান। সম্পর্ক ভাল চলুক কি খারাপ, তাঁদের যদি অন্য কাউকে দেখে ভাল লাগে তা হলে নির্দ্বিধায় তাঁরা সেই মানুষটার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করবেন। তবে সেই মানুষটির সঙ্গেও যে বেশি দিন থাকবেন তেমনটা নয়, কয়েক দিন পর যদি অন্য কাউকে ভাল লাগে তা হলে তাঁর কাছে চলে যাওয়ার আগেও কন্যা রাশির ব্যক্তিরা দু’বার ভাববেন না।
আরও পড়ুন:
তুলা: ভালবাসার ভান করা তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের থেকে শেখা উচিত। এঁরা আপনার সঙ্গে কয়েক দিনের জন্য এমন ভাবে কথা বলবেন যেন মনে হবে আপনাকে ছাড়া আর অন্য কেউ এঁদের জীবনে নেই, কিন্তু কয়েক দিন এগোলেই এঁদের থেকে আর আগের মতো পাত্তা পাওয়া যাবে না। এই রকম কাজ তুলা রাশির ব্যক্তিরা হামেশাই করে থাকেন। এক সঙ্গীর সঙ্গে সুখে সংসার করা এঁদের রাশিগত প্রকৃতিতে নেই। ঘর-সংসারে এঁদের মন টেকে না, বাইরের দুনিয়ার চাকচিক্যর প্রতি তুলা রাশির ব্যক্তিদের ঝোঁক অন্যদের তুলনায় একটু বেশি। তাই মাঝেমধ্যেই নতুন নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে ভালবাসেন। তবে সেগুলি নেহাতই সময় কাটানোর উদ্দেশ্যে করে থাকেন। দরকার মিটে গেলে তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা আর ফিরে তাকাতে পছন্দ করেন না।
আরও পড়ুন:
বৃশ্চিক: বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা স্বভাবত খুবই মজার। হাসতে ও হাসাতে ভালবাসেন এই রাশির মানুষেরা। আর তাঁদের এই স্বভাবের জোরেই তাঁরা মানুষদের নিজের দিকে আকৃষ্ট করেন। আশপাশের মানুষেরা তাঁদের এই ফাঁদে পা-ও দিয়ে দেন। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়তে তাঁদের বেশি দিন সময় লাগে না। এক সঙ্গীতে এঁদের মন সাধারণত টেকে না।