কেতাদুরস্ত দেখানোর জন্য এখন প্রায় সকলেই চুল নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। অনেকেই আছেন যাঁরা চেহারায় কোনও বদল আনার সিদ্ধান্ত নিলে সবার আগে চুলে বদল আনেন। কিন্তু সকলের চুলেরই একটা নিজস্ব ধরন থাকে। কারও চুল সোজা, কারও কোঁকড়ানো, কারও আবার হালকা ঢেউ খেলানো। শাস্ত্রে আমাদের চুল সম্বন্ধে নানা ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন চুলের ধরনের বিচার করে নানা গোপন তথ্য জানিয়ে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
কোন ধরনের চুলের মানুষ কেমন হন?
কোঁকড়া চুল: ভিড়ের মাঝেও সকলের নজর কাড়ে কোঁকড়া চুল। অনেকে আজকাল পার্লারে গিয়ে সোজা চুল কোঁকড়া করান। সে সব ব্যাপার আলাদা। কিন্তু যাঁদের জন্ম থেকেই কোঁকড়া চুল থাকে, তাঁরা অত্যন্ত রসিক প্রকৃতির হন। এঁরা ভাল ভাবে বাঁচায় বিশ্বাসী। কাল কী হবে সে সব নিয়ে এঁরা বিশেষ মাথা ঘামান না। কোঁকড়া চুলের ব্যক্তিদের মধ্যে সৃজনশীলতা থাকে ভরপুর। এঁরা নতুন নতুন কাজ করতে ও শিখতে ভালবাসেন। একঘেঁয়ে জীবন এঁদের মোটেই পছন্দ নয়। নতুন জিনিস শেখার জন্য ঝুঁকি নিতে ভয় পান না এঁরা। কোঁকড়া চুলের ব্যক্তিরা সংবেদনশীল হন। কোনও ছোট ঘটনাও এঁদের মনে দাগ কেটে দেয়। তবে সে কথা এঁরা কারও কাছে প্রকাশ করেন না। নিজের মনেই রেখে দেন।
আরও পড়ুন:
সোজা চুল: সোজা চুলের চাহিদা বাজারে বরাবরই বেশি। যে কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানের আগে পার্লারে ভিড় পড়ে চুল সোজা করানোর। তবে যে সকল জাতক-জাতিকাদের চুল জন্ম থেকেই সোজা, তাঁরা অত্যন্ত বাস্তববাদী হন। এঁরা যে কোনও কাজ আবেগের থেকে যুক্তি দিয়ে করতে বেশি পছন্দ করেন। ছোট থেকেই এঁরা নিজেদের লক্ষ্য স্থির রেখে চলেন। সফলতার পথে কোনও বাধা এলে সেটিকে দৃঢ়তার সঙ্গে কাটিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন। নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছোনোর পরই থামেন এঁরা। যে কোনও কাজ এঁরা নিখুঁত ভাবে করতে পছন্দ করেন। সর্বদা সব ক্ষেত্রে সেরা হতে চান। এঁরা একটু গম্ভীর প্রকৃতির হন। ফলত খুব একটা বন্ধু থাকে না। তবে যে ক’জন বন্ধু বানান, তাঁদের জন্য সোজা চুলের ব্যক্তিরা যা কিছু করতে পারেন। কাছের মানুষদের এঁরা সর্বদা আগলে রাখেন।
ঢেউ খেলানো চুল: এক ধরনের চুল রয়েছে যেটা ঠিক সোজাও না, আবার তাকে কোঁকড়ানোও বলা যায় না। এটি ঢেউ খেলানো চুল নামে পরিচিত। এই ধরনের চুলের জাতক-জাতিকারা সব বিষয় নিয়ে অত্যন্ত সচেতন হন। যে কোনও কাজ এঁরা অত্যন্ত সর্ন্তপণে করে থাকেন। আবেগতাড়িত হওয়ায় যে কোনও পরিস্থিতিতে এঁরা নিজের মনকে আঘাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। যে কোনও মানুষকে ভাল লাগলেই তাঁকে নিজের মন দিয়ে দেন না এঁরা। প্রথমে মানুষটি বন্ধু হিসাবে কেমন সেটা যাচাই করে দেখেন, তার পর তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। যে কোনও বিষয় নিয়ে এঁরা প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশি চিন্তা করে ফেলেন। সেই কারণে উদ্বেগেও ভোগেন। তবে নিজেরাই নিজেদের আবার সেই আঁধার থেকে তুলে আনেন।