Advertisement
E-Paper

মিসিং নম্বর কী? আপনার ক্ষেত্রে এর প্রভাব কী জানেন?

কী ভাবে মিসিং নম্বর বের করব

অসীম সরকার

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।

অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।

কী ভাবে মিসিং নম্বর বের করব-

ধরা যাক, কোনও জাতকের জন্মতারিখ= ১৩ জানুয়ারি, ১৯৮০। অর্থাত্ ১৩/১/১৯৮০

জন্মদিন সংখ্যা= ১৩=১+৩=৪ জন্মমাস সংখ্যা=১ জন্মসাল সংখ্যা=১৯৮০=১+৯+৮+০=১৮=৯

লাইফপাথ সংখ্যা= জন্মদিন সংখ্যা + জন্মমাস সংখ্যা + জন্মসাল সংখ্যা =৪+১+৯=১৪=১+৪=৫

এ বার, জাতকের জন্মতারিখ থেকে যে সংখ্যাগুলি পেলাম= ১,৩,১,১,৯,৮,৪,১,৯,৫ (১ থেকে ৯ এর মধ্যে)

এ বার, যে সংখ্যাগুলি জাতকের জন্মতারিখ থেকে পেলাম না=২,৬,৭

তাই, জাতকের মিসিং নম্বর=২,৬,৭

জন্ম তারিখে ৫ সংখ্যা মিসিং হলে কী হয়- যাদের জন্মতারিখে ৫ সংখ্যা নেই তাদের মধ্যে যোগযোগ সংক্রান্ত সব ধরনের কাজে কমবেশি ব্যর্থতা থাকবেই। তারা সব ধরনের পরিবর্তনে ভয় পায়। কথা বলার সময় হোঁচট খেয়ে থাকে, ভ্রমণ সংক্রান্ত ব্যাপারে বা কাজে বাধা আসে, জন্মগত কৌতুহলের অভাব থাকে, ফলে শেখে কম। যে কোনও ধরনের পরিবর্তনের বিরোধী। মাস মিডিয়া সংক্রান্ত কাজে সাফল্য কম। নতুন পরিবেশ বা নতুন কিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে থাকে। এদের কাছে নতুন মানেই বিভীষিকা। চাকরিতে ট্রান্সফার হলে আর সকলের থেকে এরা বেশি কষ্ট পেয়ে থাকে। তথ্য সংগ্রহের কাজে এদের সে ভাবে আগ্রহ থাকে না। সাধারণ জ্ঞান কম থাকে। এদের নাক,কান,গলা বা কথা বলার সমস্যা থাকে। এদের এই জীবনে কর্ম হচ্ছে সব ধরনের পরিবর্তনকে স্বাগত জানানো, কৌতূহলী হওয়া এবং অনেক বিষয়ে পড়াশোনা করা ও নতুন স্বাগত জানানো।

জন্মতারিখে ৬ সংখ্যা মিসিং হলে কী হয়- যাদের জন্মতারিখে ৬ মিসিং হলে, তারা পরিবার দেখভালে বিশেষ ভাবে ব্যর্থ হয়ে থাকে। পারিবারিক দায়িত্ববোধে এরা সব সময় এড়িয়ে চলে। এরা নানা অজুহাতে বাবা, মা, পুত্র-কন্যা-স্ত্রী বয়স্ক ও বয়স্কাদের দায় নিতে অস্বীকার করে থাকে। সামাজিক ক্ষেত্রেও এরা এই একই ধারণা পোষণ করে। এরা বন্ধু হিসেবেও ভাল নয়। মেয়েরা নানা রকম রোগে ভোগে, ছেলেরা কিডনি সংক্রান্ত রোগে কষ্ট পায়। যে কোনও আনন্দজনক ভ্রমণে বাধা এবং নতুন কিছু আরম্ভ করতেও বাধা পাবে। এদের এই জীবনের কাজ পারিবারিক দায়িত্ব না এড়িয়ে আরও বেশি করে সেবাজনক কর্মে নিজেকে নিয়োজিত করা।

আরও পড়ুন: আপনার মিসিং নম্বর কত জানেন? এর থেকে আপনার সম্বন্ধে কী জানা যায়

জন্মতারিখে ৭ সংখ্যা মিসিং হলে কী হয়- জন্মতারিখে ৭ সংখ্যা মিসিং মানে এরা যে কোনও চিন্তা, ভাবনা, যে কোনও ধরনের জ্ঞানের গভীরে যেতে চায় না। এদের সব দেখাই সুপারফিশিয়াল। জীবন সম্বন্ধে ধারণাগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে অনুসরণ করে থাকে। অস্থিরভাবে বিচরণ, জাগতিক জীবনের সুখভোগ এদের বেশি করে টানে। আত্মা বা আধ্যাত্মের গভীরে না গিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনায় বিশ্বাসী। এরা গভীরে গিয়ে অনুসন্ধান করতে ভয় পায়। এদের এই জীবনে কর্ম হচ্ছে কোলাহলময় জীবন ত্যাগ করে নিরালায় থাকা, ধ্যান বা মেডিটেশানে সময় দেওয়া, ভক্তিমূলক ভাবের গভীরে অন্বেষণ করা, ইত্যাদি।

জন্মতারিখে ৮ সংখ্যা মিসিং হলে কী হয়- আট জাগতিক সংখ্যা, অর্থের সংখ্যা। যাদের জন্মতারিখে ৮ মিসিং তারা জন্ম থেকে কমবেশি কল্পনার জগতে থাকে। অর্থ রোজগারের ধান্দা কম বরং অর্থ খরচের চিন্তায় যে সুখভোগে আসে তার চিন্তায় জীবনের ব্যাপক সময় নষ্ট করে। সাইকিক মতে, এদের মূলাধার বন্ধ থাকে। যাদের মূলাধার খোলা থাকে, তারা সব সময় ভাল টাকা পয়সা রোজগার করে। যাদের জন্মতারিখে আট সংখ্যা নেই, তাদের উচিত খুব অল্প বয়স থেকে অর্থ রোজগারে নেমে বাস্তব জীবন সংগ্রাম অনুভব করা। জাগতিক সবকিছুকে উপভোগ করা উচিত অর্থ আয়ের মাধ্যমে। ভাবগত জীবনে যত দূর সম্ভব এড়িয়ে চলা। যে কোনও ভাবগত জীবন এদের আত্মার পক্ষে ক্ষতিকারক।

জন্মতারিখে ৯ সংখ্যা না থাকলে কী হয়- জন্মতারিখে ৯ থাকা মানেই কমবেশি পরিণত ‘আত্মা’। ৯ থাকা মানেই এরা অপরের জন্য ভাল কিছু ভাবে বা করে। ৯ মানেই পরার্থে জীবন। তাই যাদের জন্মতারিখে ৯ মিসিং,তারা এর বিপরীত জীবনে আসক্ত হয়ে থাকে। এদের আত্মা সে ভাবে পরিণত হয়ে ওঠেনি। তাই এরা নিজের স্বার্থ চিন্তায় মশগুল থাকে। এদের কাছ থেকে বিপদের দিনে কোনও সাহায্য পাওয়া বেশ কঠিন। এরা কোনও ক্ষেত্রেই সমাজের কোনও উপকারে লাগে না। বরং ক্ষেত্র বিশেষে অনেক সময় সমাজের ক্ষতি করে থাকে। এদের এই জীবনে উচিত কোনও সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার চেষ্টা করা, সাধ্যমত দানধ্যান করা।

Missing Number Rashi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy