প্রতীকী চিত্র।
মহাকাশে ৩৬০ ডিগ্রি স্থানকে সমান ১২টি কাল্পনিক অংশে ভাগ করা হয়। প্রত্যেক অংশ সমান ৩০ ডিগ্রি, এক একটি রাশি। সাতটি গ্রহ এবং দু’টি ছায়া গ্রহ (গাণিতিক বিন্দু) রাহু কেতু-সহ ন’টি গ্রহ। গ্রহগুলি পৃথিবীর স্বাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রাশি পরিবর্তন করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাশিতে অবস্থান করে। মুনি ঋষিগণ দীর্ঘকাল পর্যবেক্ষণ করে কোন গ্রহ কোথায় অবস্থান করলে শুভ বা অশুভ ফল দান করে, শুভ অশুভ ফল দানের হিসাবে গ্রহদের নিজক্ষেত্র, উচ্চ ক্ষেত্রে মূল ত্রিকোণ স্থান, নিম্ন ক্ষেত্র ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে যোগ শুভ ফলদান করে, দোষ অশুভ ফলদান করে।
গ্রহের শুভ অবস্থান, এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহের নির্দিষ্ট শুভ ক্ষেত্রে অবস্থান, একাধিক গ্রহের একত্রে অবস্থান এবং পরস্পরের সঙ্গে দৃষ্টি-সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যামে সংগঠিত হয় বিভিন্ন যোগ।
রাহু-কেতু দুই ছায়াগ্রহ এবং সূর্য চন্দ্রকে বাদ দিলে, বাকি পাঁচ গ্রহের নিজ ক্ষেত্র, উচ্চ ক্ষেত্র এবং মূল ত্রিকোণ স্থানে অবস্থানের হিসাবে পাঁচটি শুভ যোগ সৃষ্টি হয়। এই পাঁচটি যোগ পঞ্চ মহাপুরুষ যোগ। জন্মপঞ্জিকায় পঞ্চ মহাপুরুষ যোগের যে কোনও যোগ থাকলে জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য প্রাপ্ত হয়।
সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ বুধ। বুধ গ্রহের শুভ অবস্থান সৃষ্টি করে ভদ্র যোগ।
দ্বিতীয় গ্রহ শুক্রের শুভ অবস্থানে বা শুক্রের অবস্থানের হিসাবে সৃষ্টি হয় মালব্য যোগ।
মঙ্গলের শুভ অবস্থানে বা মঙ্গলের অবস্থানের হিসাবে সৃষ্টি হয় রুচক যোগ।
বৃহস্পতির শুভ অবস্থানে বা অবস্থানের হিসাবে সৃষ্টি হয় হমস যোগ।
শনির অবস্থানের কারণে বা শুভ অবস্থানের কারণে সৃষ্টি হয় শাস যোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy