মঙ্গলসূত্র ছিঁড়ে যাওয়াটা আপাতদৃষ্টিতে খুবই সাধারণ একটা ঘটনা বলে মনে হয়। তবে শাস্ত্র জানাচ্ছে এর নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে কোনও গোপন তথ্য। মঙ্গলসূত্র অত্যন্ত পবিত্র একটা জিনিস। হিন্দু বিয়েতে স্বামীরা তাঁদের স্ত্রীর গলায় মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেন। বিবাহিত মহিলাদের একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অলঙ্কার হল মঙ্গলসূত্র। মঙ্গলসূত্র হল স্বামীর সুরক্ষার প্রতীক। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সব ঘটনারই একটা শুভ-অশুভ দিক থাকে। ঠিক সে রকমই মঙ্গলসূত্র ছিঁড়ে যাওয়া শুভ না অশুভ সেটারও ব্যাখ্যা জ্যোতিষশাস্ত্রে রয়েছে।
আরও পড়ুন:
মঙ্গলসূত্র ছিঁড়ে গেলে কী হয়?
মনে করা হয়, মঙ্গলসূত্র স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে মজবুত করে। বিবাহিত জীবনকে কুদৃষ্টি থেকে বাঁচায় মঙ্গলসূত্র। স্বামীর জীবনকেও সুরক্ষিত করে এই অলঙ্কার। স্বামীর জীবনে কোনও সঙ্কট আসতে দেয় না। মঙ্গলসূত্র সৌভাগ্যের প্রতীক। এই মঙ্গলসূত্র ছিঁড়ে যাওয়া অশুভ লক্ষণ। তবে এটা যে কখনও ছিঁড়বে না সেটাও সম্ভব নয়। দীর্ঘ দিন ব্যবহার করার পর যে কোনও জিনিসেরই মেয়াদ ফুরিয়ে আসতে পারে। সেটাই স্বাভাবিক। সে রকম মঙ্গলসূত্র ছিঁড়ে যাওয়ার পর বিশেষ কয়েকটা নিয়ম রয়েছে, সেটা মেনে চললেই সাধারণত কোনও অসুবিধা হয় না এবং অশুভ লক্ষণের হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
মঙ্গলসূত্র ছিঁড়ে গেলে কী করতে হবে?
১) প্রথমেই মঙ্গলসূত্রের কালো পুঁতিগুলো সব একত্র করে ঠাকুরের সামনে রেখে দিন। তার পর আবার নতুন সুতো নিয়ে পুনরায় তা গেঁথে নতুন একটি মঙ্গলসূত্র তৈরি করে নিন।
২) নতুন মঙ্গলসূত্রটা গলায় পরার আগে তুলসীদেবীর পুজো করুন। তুলসীদেবীকে মঙ্গলসূত্রটা ছুঁইয়ে নিয়ে তার পর পরতে হবে।
৩) মঙ্গলসূত্রটি পরার আগে মা পার্বতীরও পুজো করা যেতে পারে।
৪) খেয়াল রাখতে হবে, ছিঁড়ে যাওয়া মঙ্গলসূত্র থেকে একটাও কালো পুঁতি যেন হারিয়ে না যায়।