— প্রতীকী ছবি।
আয় কিছুই নেই, কিন্তু জীবনযাত্রা দেখলে চোখ কপালে উঠবে। কিন্তু সেই জীবনযাত্রা চালিয়ে নিয়ে যেতে যে উপার্জন দরকার, তা নেই। অগত্যা ১৯ বছরের দেবেন্দ্র রাঠৌরের নজর গিয়ে পড়ে দাদু, দিদার নামে থাকা কৃষিজমি এবং অন্য সম্পত্তির উপর। বার বার চেয়েও সম্পত্তি না মেলায় নাতির হাতে খুন হয়ে গেলেন দাদু, দিদা। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানে কোটা জেলার বরণ এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্ত দেবেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে।
কোটারই সিমলিয়া এলাকায় বাড়ি দেবেন্দ্রর। তাঁরই জীবনযাত্রা চোখধাঁধানো। কিন্তু সম্প্রতি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী পিতার মৃত্যু হয়। তার পরেই সমস্যা শুরু। অর্থের অভাবে জীবনযাত্রা ঠিক রাখতে না পেরে দেবেন্দ্রের নজর পড়ে দাদু, দিদার সম্পত্তির উপর। সেই অনুযায়ী, পরিকল্পনা সাজানো হয়।
গত ১৭ অগস্ট দেবেন্দ্র তাঁর দিদার বাড়ি মণ্ডলা গ্রামে যান। সেখানে প্রথমে সম্পত্তি চাইতে থাকেন দেবেন্দ্র। কিন্তু দাদু, দিদা রাজি হন না। তার পর ঘুমের মধ্যে দেবেন্দ্র ৮৫ বছরের রামকল্যাণ রাঠৌর এবং ৮০ বছরের লাতুরি বাইকে খুন করে পালিয়ে যান। বরণের পুলিশ সুপার রাজকুমার চৌধরি জানিয়েছেন, সোমবারই দেবেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর দাবি, জেরার মুখে অভিযুক্ত দেবেন্দ্র খুনের কথা কবুল করেছেন। পুলিশের দাবি, নগদ টাকা এবং কৃষিজমির দাবিতেই জোড়া খুন।
রাজকুমার জানিয়েছেন, বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত দেবেন্দ্র। আচমকা পিতার মৃত্যুতে তাঁদের পক্ষে সেই জীবনযাত্রা বহাল রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। টাকার প্রয়োজনে তাই তিনি দাদু, দিদাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছকেন। পুলিশের দাবি, রাতে দাদু, দিদাকে খুন করে পালিয়ে গেলেও, পর দিন সকালে তিনিই দাদুর বাড়ি ফিরে মায়ের সঙ্গে শেষকৃত্যে যোগ দেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। যদিও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy