হাতিছড়ায় রাস্তার ধারে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃত মায়াজুল আলি লস্কর ও দিলোয়ার হোসেন লস্কর পিতা-পুত্র। তদন্তকারী অফিসার মণ্টুরাম বরা জানিয়েছেন, নিহত তরুণীর নাম মিনারা বেগম। দিলোয়ারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। তবে সে বিয়ে টেঁকেনি। মিনারা থাকতেন কনকপুরে, তাঁর মায়ের সঙ্গে। তদন্তে নেমে পুলিশ মিনারার মোবাইলের কল-রেকর্ডে দিলোয়ারের হদিস পায়। মৃতদেহ উদ্ধারের আগের দিন, ১ সেপ্টেম্বরও সে মিনারাকে ফোন করেছে। এর পরই তোপখানা থেকে দিলোয়ার ও তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়স দিলোয়ার মিনারাকে ফোনের কথা স্বীকার করলেও, খুনের অভিযোগ মানতে নারাজ। তার বক্তব্য, এক বছর ধরে তাদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। সে আরেক বিয়ে করে নিয়েছে। এর পরও মিনারা কিছু দিন ধরে তাকে ফোন করে ঘরে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করছিলেন। ১ সেপ্টেম্বর মিনারা তাকে ‘মিসড কল’ করেছিলেন। পরে সে ফোন করে বলে জানায়।
পুলিশের অনুমান, শ্বাসরুদ্ধ করে অন্যত্র হত্যা করা হয়েছে মিনারাকে। পরে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের ধারে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে।
এ দিকে উধারবন্দের বিধায়ক মিহিরকান্তি সোম ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর ক্রমে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কোনও ঘটনায় এই অঞ্চলের বাসিন্দারা জড়িত নন। কিন্তু নানা ভাবে ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে, নির্জন এলাকা দিয়ে করিডর গিয়েছে বলে উঠতি প্রজন্মের তরুণ-তরুণী সন্ধে হলেই এদিকে
চলে আসেন। চলে বাইকের স্টান্টবাজিও। ঘটছে মৃতদেহ ফেলে যাওয়ার ঘটনাও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy