এক জন সরকারি স্কুলে বিজ্ঞান পড়ান। আর এক জন পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। বর্তমানে কোচিং সেন্টার চালান। মাদক তৈরি এবং বিক্রির জন্য দু’জনকেই গ্রেফতার করল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) আধিকারিকেরা। অভিযোগ, নেশাদ্রব্য মেফেড্রোন উৎপাদন করে বিক্রি করতেন তাঁরা। এই ভাবে ১৫ কোটি টাকার মাদক উৎপাদন করেছেন দুই শিক্ষক। প্রায় ১৩ কোটি টাকার মাদক বিক্রিও করে দিয়েছেন। ঘটনাস্থল রাজস্থান।
মেফেড্রোন বা এমডি সিন্থেটিক স্টিমুলেন্ট ড্রাগ। পাউডারের মতো এই মাদকটি সাধারণত গিলে নেশা করেন অনেকে। আবার সিগারেটের কাগজে মুড়ে অথবা তরলের সাথে মিশেও পান করা হয়। ‘বম্বিং’ নামে অনেক জায়গায় পরিচিত নিষিদ্ধ মাদকটি উৎপাদন করে বিশাল অঙ্কের অর্থ উপার্জনের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন দুই শিক্ষক।
এনসিবি জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মনোজ ভার্গব এবং ইন্দ্রজিৎ বিষ্ণোই। দু’জনের বয়স ২৫ বছর। রাজস্থানের গঙ্গাসাগর জেলায় একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন মনোজ। ইন্দ্রজিৎ পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। তবে কোচিং সেন্টারে পড়ান। পাশাপাশি রাজস্থান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আরএএস) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিযোগ, ভাড়া করা ফ্ল্যাটে গবেষণাগার তৈরি করে সেখানে মাদক উৎপাদন করতেন ওই দু’জন।
এনসিবি-র তদন্তে উঠে এসেছে, দিল্লি থেকে রাসায়নিক কিনে আনতেন দুই বন্ধু। জেরায় তাঁরা স্বীকার করেছেন, গত আড়াই মাসে তাঁরা প্রায় পাঁচ কিলোগ্রাম এমডি ড্রাগ উৎপাদন করেছেন। উৎপাদিত মাদকের বাজারমূল্য আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৪ কেজির বেশি মাদক বাজারে বিক্রিও করে দিয়েছেন। বাকি ৭৮০ গ্রাম মাদক উদ্ধার করা গিয়েছে। তার মূল্যই প্রায় আড়াই কোটি টাকা বলে দাবি এনসিবি-র।
আরও পড়ুন:
দুই শিক্ষকের গবেষণাগার থেকে সমস্ত রাসায়নিক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে এই মাদকচক্রে আরও কেউ জড়িত কি না, খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।