Advertisement
E-Paper

একের পর এক ব্যবসায় ব্যর্থ! ২০ কোটি ঋণের চাপেই কি সপরিবার ‘আত্মহত্যার’ ঘটনা হরিয়ানায়?

হরিয়ানার পঞ্চকুলার সেক্টর ২৭ থেকে একই পরিবারের সাত জনের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গাড়ির মধ্যে থেকে ছ’জনের দেহ মেলে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই অন্য এক জনের মৃত্যু হয়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৫ ১৭:১৩
20 crore debt reportedly behind the death of 7 people from panchkula Haryana

হরিয়ানার একই পরিবারের সাত জনের মৃত্যু। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

মাথার উপর ঝুলছিল ২০ কোটি টাকার ঋণ! কী ভাবে তা শোধ করা হবে, তা বুঝতেই পারছিলেন না মিত্তল পরিবারের সদস্যেরা। দিনের পর দিন এই ঋণের বোঝা চেপে বসছিল তাঁদের কাঁধে। সেই থেকেই মানসিক অবসাদ! হরিয়ানার একই পরিবারের সাত সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে এই বিশাল অঙ্কের ঋণ। প্রাথমিক তদন্তে এমনই মনে করছে পুলিশ।

হরিয়ানার পঞ্চকুল্লার সেক্টর ২৭ থেকে একই পরিবারের সাত জনের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গাড়ির মধ্যে থেকে ছ’জনের দেহ মেলে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, আত্মহত্যাই করেছেন ওই পরিবারের সকলে। তবে কেন আত্মহত্যা করলেন, তার কারণ খুঁজছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, ঋণের টাকা মেটানোর সামর্থ্য না থাকাতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় মিত্তল পরিবার।

পুলিশ মনে করছে, প্রবীণ মিত্তলই আত্মহত্যার ছক কষেন। স্ত্রী, তিন সন্তান এবং বাবা-মাকে নিয়ে গাড়িতে আত্মহত্যা করেন প্রবীণ। গাড়ি থেকে চিরকুট উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর, বছর কয়েক আগে প্রবীণ হিমাচল প্রদেশের বাদ্দিতে লোহার ছাঁটের (স্ক্র্যাপ) একটি কারখানা তৈরি করেছিলেন। সেই কারখানা তৈরিতে এবং ব্যবসার জন্য ঋণ নিতে শুরু করেন প্রবীণ। কখনও ব্যাঙ্ক থেকে আবার কখনও পরিচিতদের থেকে ধার নেন। কিন্তু সময়মতো ব্যাঙ্কের ধার মেটাতে না পারায় তাঁর কারখানা বাজেয়াপ্ত করে ব্যাঙ্ক। জানা গিয়েছে, আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার পরই পঞ্চকুলা ছেড়ে প্রবীণ দেহরাদূন চলে গিয়েছিলেন। যোগাযোগ রাখতেন না পরিবারের কারও সঙ্গে।

প্রবীণের মামাতো ভাই সন্দীপ আগরওয়ালের দাবি, পঞ্চকুলা থেকে যখন ওরা চলে যান তখন তাঁদের ২০ কোটি টাকার দেনা ছিল। পুলিশের অনুমান, এই দেনা মেটানোর সামর্থ্য ছিল না প্রবীণের কাছে। তার মধ্যেই তাঁর দু’টি ফ্ল্যাট, গাড়িও ব্যাঙ্ক জমা রেখে দেয়। তবে দেহরাদূনে বেশি দিন থাকেননি প্রবীণ। সেখান থেকে চলে যান পঞ্জাবের খারারে। তার পর হরিয়ানার পিঞ্জোরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। মাস খানেক আগেই আবার পঞ্চকুলায় ফিরে আসেন। সংসার চালাতে ট্যাক্সিও চালিয়েছেন প্রবীণ। কিন্তু কিছুতেই মানসিক শান্তি ফিরে পাচ্ছিলেন না।

সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া চিঠিতে আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করে গিয়েছেন প্রবীণ। শুধু তা-ই নয়, গোটা ঘটনার জন্য নিজেকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোককে যেন কোনও ভাবে এই ঘটনায় জড়ানো না হয়, তা-ও উল্লেখ করে গিয়েছেন প্রবীণ। এমনকি, তাঁদের মৃত্যুর পর শেষকৃত্য কে করবেন, তা-ও লিখেছেন চিঠিতে। প্রবীণ জানিয়েছেন, তাঁদের শেষকৃত্য যেন তাঁর মামাতো ভাই করেন।

Mysterious death Haryana
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy