অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী সন্দেহে কেরলের কোচি থেকে ২৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কেরল পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস) এবং এর্নাকুলম গ্রামীণ পুলিশে যৌথ অভিযানে পাকড়াও করা হয়েছে তাঁদের। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক সেজে তাঁরা কেরলে বাস করছিলেন। এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে কেরল পুলিশ।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বার করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। দিল্লি, মুম্বইয়েও চলেছে অভিযান। সম্প্রতি কেরলের এর্নাকুলম গ্রামীণ পুলিশ জেলার তরফে ‘অপারেশন ক্লিন’ শুরু করা হয়েছে। তাতে এর আগে তসলিমা বেগম নামে বছর ছাব্বিশের এক তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনিও বিনা নথিতে এ দেশে থাকছিলেন বলে অভিযোগ। সেই তদন্তের সূত্র ধরেই কোচি সংলগ্ন একটি গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। ধৃতদের থেকে পাওয়া নথিপত্র যাচাই করে পুলিশ জানতে পারে, তাঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশি। ভুয়ো নথিতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা সেজে এ দেশে বেআইনি ভাবে বাস করছিলেন তাঁরা। তাঁদের কাছে জাল আধার কার্ড ছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
এর্নাকুলাম গ্রামীণ পুলিশ জেলার সুপার বৈভব সক্সেনা জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি লজে অভিযান চালিয়ে ৫৪ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তথ্য যাচাইয়ের পর পুলিশ জানতে পারে, ওই ৫৪ জনের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। দু’জনের থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং জন্ম শংসাপত্রও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই নথিগুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, ধৃতেরা পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক সেজে সেখানে কাজ করছিলেন।
সম্প্রতি দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অবৈধ ভাবে ভারতে অভিবাসনের অভিযোগে ধরপাকড়ও চলেছে নাগাড়ে। ধরা পড়েছেন প্রচুর অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা এ দেশে আসার পর কোনও ভাবে জাল আধার কার্ড এবং অন্য ভারতীয় পরিচয়পত্র জোগাড় করেছিলেন। কিছু ভারতীয় দালালও এর সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের।