জঙ্গি-সংঘর্ষের পরে শ্রীনগরের জুনিমার এলাকায় সেনারা। পিটিআই
শনিবার রাত থেকে ২৪ ঘণ্টায় কাশ্মীরের শ্রীনগর ও কুলগাম জেলার দু’টি জায়গায় সেনাদের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে এক পাকিস্তানি নাগরিক-সহ চার জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে্। নিহতদের মধ্যে শাকুর ফারুখ লঙ্গু নামে এক জঙ্গির বিরুদ্ধে ২০ মে সৌরা এলাকায় দুই বিএসএফ জওয়ানকে হত্যা করে রাইফেল ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। ছিনতাই হওয়া একটি রাইফেল এ দিন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনের ৪ জনকে নিয়ে চলতি মাসে ৩১ জন জঙ্গি সেনাদের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে প্রাণ হারাল। চলতি বছরের প্রথমার্ধে সংখ্যাটি ১০৫।
শ্রীনগরে কাশ্মীর পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, জুনিমার এলাকায় একটি বাড়িতে তিন জন সশস্ত্র জঙ্গি ঘাঁটি গেড়েছে খবর পেয়ে তাঁরা অভিযান শুরু করেন। বাড়িটি ঘিরে ফেলার পরে সেটির অন্য বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে জঙ্গিদের কাছে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তারা গুলি চালাতে থাকে। দীর্ঘ গুলি-পাল্টা গুলির পরে এক সময়ে বাড়িটি থেকে গুলি আসা বন্ধ হয়। নিহত তিন জঙ্গির দু’জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। সকলেই কাশ্মীরের বাসিন্দা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য বলে দাবি পুলিশের।
এই সঙ্ঘর্ষের কয়েক ঘণ্টা আগেই কুলগামের একটি গ্রামে সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে মারা গিয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের এক মাথা তায়েব ওয়ালিদ ওরফে ইমরান ভাই ওরফে গাজি বাবা। পাকিস্তানের নাগরিক এই জঙ্গি কাশ্মীরের নানা জায়গায় ঘুরে সংগঠনে যোগ দিতে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করত। বোমা বানানোতেও বিশেষজ্ঞ ছিল সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy