Advertisement
০৭ মে ২০২৪
dog attack

আবার পথকুকুরের হামলা, সেই হায়দরাবাদে, শিশুমৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও হামলা

শিশুটির চিৎকার শুনে তার বাড়ির লোকেরা বেরিয়ে এসে দেখেন এক দল কুকুর ঋষিকে টানাটানি করছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কুকুরের দলকে তাড়িয়ে ঋষিকে উদ্ধার করেন।

Dog attacked child

হায়দরাবাদে আবার পথকুকুরের হামলা। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪২
Share: Save:

পথকুকুরের হামলায় ৫ বছরের এক শিশুর মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও এক শিশুর উপর হামলা চালাল এক দল কুকুর। এ বারও ঘটনাস্থল সেই হায়দরাবাদ।

আক্রান্ত শিশুটির নাম ঋষি। তার বয়স ৪। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সকালে বাড়ির কাছেই খেলছিল ঋষি। তখন আচমকাই তিন-চারটি কুকুর তার দিকে তেড়ে আসে। ঋষিকে ঘিরে ধরে আঁচড়, কামড় দেয় সেগুলি। শিশুটির চিৎকার শুনে তার বাড়ির লোকেরা বেরিয়ে এসে দেখেন এক দল কুকুর ঋষিকে টানাটানি করছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কুকুরের দলকে তাড়িয়ে ঋষিকে উদ্ধার করেন। পরিবারের দাবি, হাতে-পায়ে দাঁত বসিয়ে দিয়েছে কুকুরগুলি।

ঋষির মা বলেন, “আমরা ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। তার পরই তারা কুকুরগুলিকে ধরে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র ছেড়ে আসে।” তাঁর অভিযোগ, এলাকারই কিছু পরিবার কুকুরগুলিকে খেতে দেয়। তাঁদের নিষেধ করা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। কুকুরের ভয়ে বাচ্চারা বাড়ি থেকে বেরোতে পারে না।

এর আগে হায়দরাবাদেরই অম্বরপেটে কুকুরের হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৫ বছরের প্রদীপের। তার বাবা গঙ্গাধর অম্বরপেটের একটি আবাসনে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। প্রদীপকে নিজের সঙ্গে কর্মস্থলে নিয়েছিলেন তিনি। আবাসনের সামনের রাস্তায় হাঁটছিল প্রদীপ। তাকে দেখে তিনটি কুকুর ছুটে আসে। কুকরগুলিকে দেখে ভয়ে এ দিক-ও দিক ছোটাছুটি করতে থাকে প্রদীপ। তখনই একটি কুকুর তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর তাতেই রাস্তায় পড়ে যায় সে। তখন বাকি কুকুরগুলি প্রদীপের জামা টানতে শুরু করে। রাস্তা থেকে উঠে পড়েছিল প্রদীপ। কুকুরগুলিকে তাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়। শেষমেশ কুকুরের হামলায় মৃত্যু হয় তার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

dog attack hyderabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE