Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Court

Mumbai: নবতিপর মায়ের উপর অত্যাচার! ছেলে-বৌমাকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিল আদালত

আদালতের পর্যবেক্ষণ, দীর্ঘ দিন ধরে ছেলে ও বৌমার হাতে অত্যাচারিত হচ্ছেন নবতিপর। বৃদ্ধার উপর গার্হস্থ্য হিংসা করেছেন তাঁরা।

আদালতের রায়ে জিতলেন ৯০ বছরের বৃদ্ধা।

আদালতের রায়ে জিতলেন ৯০ বছরের বৃদ্ধা। প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২২ ১০:৩১
Share: Save:

বৃদ্ধা মায়ের উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের অপরাধে ছেলে-বৌমাকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার মুম্বইয়ের নগর দায়রা আদালতের পর্যবেক্ষণ, দীর্ঘ দিন ধরে ছেলে ও বৌমার হাতে অত্যাচারিত হচ্ছেন নবতিপর। তাঁর উপর গার্হস্থ্য হিংসা হয়েছে। তাই পৈতৃক বাড়ি ছাড়তে হবে ছেলেকে। সঙ্গে তাঁর স্ত্রীকেও বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে।

ছেলের বিরুদ্ধে একাধিক বার থানার অভিযোগ করেছিলেন নবতিপর মহিলা। ২০০০ সালে তাঁর স্বামী মারা যান। স্বামীর ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে তাঁর। মহিলার অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলে এবং বৌমার ব্যবহার বদলে যেতে থাকে। ফ্ল্যাটের পুরো মালিকানা নিজেদের হাতে নেওয়ার জন্য দিনের পর দিন তাঁকে অত্যাচার করা হয়েছে।

আদালতে বৃদ্ধা জানান, এক বার মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন ছেলে। তার পর লাথি মেরে তাঁর ঘরের দরজা ভাঙেন। তাঁর ঘাড় ধরে সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিতে চান। তিনি কোনও ভাবেই রাজি হননি বৃদ্ধা। কিন্তু অত্যাচারের সেই শুরু। নিজের বাড়িতেই ছেলে এবং বৌমার ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতে হত বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধা।

এ নিয়ে প্রথমে ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে মামলা হয়। সেখানকার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে নগর দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হন ছেলে এবং বৌমা। সোমবার আদালতে বৃদ্ধার বৌমা দাবি করেন, স্বামীর বাড়ি থেকে তাঁকে তাড়ানো যায় না। যার প্রেক্ষিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, গার্হস্থ্য হিংসা মামলার অধীনের বিচারে এক জন মহিলাকে তাঁর বাড়ি থেকে তাড়ানোও সম্ভব নয়। তাই তাঁদেরই বাড়ি ছাড়তে হবে। এর পর আদালতের নির্দেশ, আগামী দু’মাসের মধ্যে ওই ছেলে-বৌমাকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Court Domestic Violence Mother-Son
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE